চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিতে ২৬.৬৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়টিতে আমেরিকান বাজারে ১৫০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। ২০২৪ সালের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ১১৮ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য পরিসংখ্যান সংস্থা ওটেক্সার তথ্যের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, এই দুই মাসে দেশটি বিশ্বজুড়ে মোট ১৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে এই দুই মাসে পোশাক আমদানির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ছিল উল্লেখযোগ্য।
বিশ্বের অন্যান্য প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৩ দশমিক ০৫ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং চীনের ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
পরিমাণের দিক থেকে (পিস হিসাবে) বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ২৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি পোশাক (পিস) আমদানি করেছে। অন্যদিকে, ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯০ শতাংশ, পাকিস্তান থেকে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং চীন থেকে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
পিসপ্রতি গড় দামে (ইউনিট প্রাইস) বাংলাদেশের পোশাকের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ভিয়েতনামের বেড়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, চীনের ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। তবে ভারতের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী ইউনিট প্রাইস বেড়েছে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় দেশের অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে, তবে আসন্ন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকাও জরুরি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশি পোশাক খাতের মান ও সক্ষমতার প্রতিফলন। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ধরে রাখা জরুরি।’
আরএ/এসএন