১৫ মাসে ভারত হয়ে ৪৬.২৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ

গত ৮ এপ্রিল ভারত হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানির সুবিধা বাংলাদেশের জন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে নয়াদিল্লি। যার প্রভাব যাচাই করতে শুরু করেছে দেশের রফতানিসংশ্লিষ্টরা। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় গত ১৫ মাসে ভারত হয়ে বিশ্বের ৩৬টি দেশে পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর অর্থমূল্য ৪৬ কোটি ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫২ দশমিক ৮৪ ডলার।

জানা গেছে, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধাটির বহুল ব্যবহার করছিলেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা। বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে রপ্তানি পণ্য পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিক, যা এড়াতে ভারত থেকে আকাশপথে পোশাক পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠাতেন তারা। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের প্রভাব মূল্যায়ন নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ-সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে সড়ক পথে ভারতে পরিবহন হওয়া পোশাক রপ্তানি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান সংকলন করে বিশ্লেষণ করা শুরু হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৫ মাসে ৪৬ কোটি ডলারেরও বেশি পোশাকপণ্য ভারত হয়ে বিশ্বের ৩৬টি দেশে রফতানি হয়েছে।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত ১৫ মাসে ৩৬টি দেশে ভারত হয়ে রপ্তানি করা পোশাকের পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৯০৯ দশমিক ২১ টন, যার অর্থমূল্য ৪৬ কোটি ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫২ দশমিক ৮৪ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর অর্থমূল্য ৫ হাজার ৬৪০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। রপ্তানি হওয়া পোশাক পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের অন্তর্বাস, স্কার্ট, ট্রাউজার, পুরুষ-নারীর ড্রেসিং গাউন, জ্যাকেট, পুলওভার, টি-শার্ট, সিঙ্গলেট, ব্রিচেস, শর্টস, ওভারকোট, কার-কোটস, শিশু পোশাক প্রভৃতি।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে এবং চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ভারতের মাধ্যমে মোট ৩৬টি ট্রান্সশিপমেন্ট হয়েছে। নেপাল ও ভুটানে শিপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হবে না, ভারতের পক্ষ হতে এমনটা বলা হয়েছে। অর্থাৎ সম্ভবত ৩৪টি দেশেই ভারতের মাধ্যমে শিপমেন্টে আমাদের সমস্যা হবে। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের দিকই আছে। আমাদের পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তার পরও বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে সক্ষমতা বড় একটা ফ্যাক্টর। এ পরিস্থিতিতে একটা বিকল্প থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাম্পের ট্রান্সজেন্ডারদের পাসপোর্ট দেয়া বন্ধে নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক বললেন আদালত Apr 19, 2025
img
নির্বাচন ইস্যুতে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি Apr 19, 2025
img
সরকার কোনোভাবেই ‘কাজ’ ছাড়া সময় পেতে পারে না : আখতার Apr 19, 2025
img
বিশ্রাম পাচ্ছেন না লিওনেল মেসি, মায়ামির পরবর্তী ম্যাচেও খেলবেন Apr 19, 2025
img
‘১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১২৯টিতে আমরা একমত হয়েছি’ Apr 19, 2025
img
ভিয়েতনাম থেকে এলো সাড়ে ১২ হাজার টন চাল Apr 19, 2025
img
পরিবারের নারীদের ধর্ষণের হুমকি পেলেন বলিউড পরিচালক Apr 19, 2025
img
জুনে জিনের কনসার্ট ট্যুর Apr 19, 2025
img
মিথ্যা মামলায় হয়রানি না করার নির্দেশ পুলিশকে দেওয়া আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Apr 19, 2025
img
বিরাট কোহলিকে ‘জামাই’ বলে ডাকেন শাহরুখ Apr 19, 2025