প্রেম নেই। তা বলে কি হৃদয়ের উষ্ণতাও নেই! বিজয় বর্মা-তমন্না ভাটিয়া বিচ্ছিন্ন হতেই গুঞ্জন আছড়ে পড়েছিল আরব সাগরের তীরে। বিচ্ছেদের দিন কয়েক আগেও তাঁরা পরস্পরকে চোখে হারাতেন! আঙুলে আঙুল জড়িয়ে উপস্থিত হতেন সমস্ত অনুষ্ঠানে। এমন কী হল যুগলের মধ্যে, যে তাঁরা এখন হাতে হাত রাখা দূরে থাক, একে অন্যের মুখ পর্যন্ত দেখতে নারাজ! না বিজয় না তমন্না— কেউ বিচ্ছেদ নিয়ে টুঁ শব্দ করেননি। কেউ কাউকে দোষারোপও করেননি। কেবল নীরবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন।
অবশেষে প্রকাশ্যে সেই ঘটনা। জুটি মুখ না খুললেও মুখ খুলেছেন জাতীয় স্তরের এক জ্যোতিষী। তিনি নাকি অতি সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে নিজের বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর দাবি, “অর্থই অনর্থের মূল! এখনও বিজয়-তমন্না পরস্পরকে ভালবাসেন, কাছাকাছি থাকতে চান। বাদ সেধেছে অর্থকরী সংক্রান্ত বিষয়। উভয়ের মধ্যে একজনের উপার্জন বাড়ছে। অন্য জন পিছিয়ে পড়ছেন ক্রমশ। যা তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করেছে।” সেই সঙ্গে যুক্ত তমন্নার দুর্ভাগ্যও। সময়টা ভাল যাচ্ছে না অভিনেত্রীর।
বিজয়-তমন্না যে এখনও পরস্পরের সান্নিধ্য পেতে চান তার প্রমাণ এ বছরের দোল উৎসব। তাঁরা আলাদা ভাবে রঙের উৎসবে নিজেদের রাঙিয়েছেন। একই বাড়িতে একই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উদ্যাপনে মেতেছেন। রবীনা টন্ডনের বাড়িতে তাঁর মেয়ে রাশার সঙ্গে চুটিয়ে রং খেলেছেন তাঁরা। কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবে। সম্পর্কে তিক্ততা থাকলে একই বাড়িতে উভয়ে উপস্থিত থাকতেন না। বিচ্ছেদের পরেও বিজয়ের জ্যাকেট গায়ে জড়িয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে।
তা হলে কি এই বিচ্ছেদের মেয়াদ সাময়িক? ফের হাতে হাত রেখে সমস্ত অনুষ্ঠানে দেখা দেবেন তাঁরা?
জ্যোতিষীর তেমনই আশ্বাসবাণী। জানিয়েছেন, প্রেম না থাকলেও আজীবন বন্ধুত্ব থাকবে বিজয়-তমন্নার। পরস্পরকে এড়ানোর সাধ্য তাঁদের নেই। অর্থকরী কারণেই তাঁদের মধ্যে যাবতীয় সমস্যা। শীঘ্রই নাকি সেই সমস্যা মিটবে। ২০২৫-ই বছরশেষে আবার এক করতেও পারে অভিনেতা যুগলকে। তবে সাতপাকে নিজেদের জড়াবেন না তাঁরা।
এসএন