বাঙালির পয়লা বৈশাখ মানেই নস্ট্যালজিয়া। পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা থেকে হালখাতা, সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। তবে আজকের বাঙালি কি ততটাই উন্মুখ থাকে নববর্ষ নিয়ে? অতীতের স্মৃতিচারণা এবং আগামী নববর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে লিখলেন ঐন্দ্রিলা সেন।
এই মুহূর্তে আমার নতুন ছবি ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’-এর কাজে ব্যস্ত। তাই এবছর পয়লা বৈশাখে আলাদা করে কোনও প্ল্যানিং নেই। ছবির শুটিং প্রায় শেষ। এখন গান রেকর্ডিং বাকি। অঙ্কুশ (‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’-এর নায়ক) ‘রক্তবীজ ২’ -এর কাজে ব্যস্ত। ওটা শেষ হলেই আমাদের ছবির গান শুট হবে। সেই বিষয়ে এবারের পয়লা বৈশাখে বেশ কয়েকটা মিটিং রয়েছে। সারাদিন সেগুলো করেই কেটে যাবে মনে হয়। তাই আলাদা করে পয়লা বৈশাখ পালনের সুযোগ নেই। তবে এই দিন মা নানারকম রান্না করেন।
ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখটা মা বাবার সঙ্গেই কাটত। বিশেষ বড় কোনও আয়োজন থাকত না। মা-ই রান্না করতেন। তবে ছোটবেলায় নতুন জামাটা ‘মাস্ট’ ছিল। নতুন জামা হত আর সেটা পরতামও। কিন্তু এখন আর সেসব কিছুই নেই। এখন আর পয়লা বৈশাখ বলে আলাদা করে কোনও কেনাকাটা করি না। কারণ আমি একবারেই ভিড়ে যেতে পারি না। তাছাড়া সারা বছর জামাকাপড় কেনাকাটা চলতেই থাকে। ইচ্ছা হলে সেখান থেকেই নতুন কিছু একটা পরে নিই। আর বাড়িতে থাকলে আমি খুব সাধারণ ভাবে থাকতেই ভালোবাসি।
তবে পয়লা বৈশাখে আমাদের প্রায় প্রতিবছরই কোনও না কোনও অনুষ্ঠানে যেতে হয়। পুজোর নিমন্ত্রণ থাকে। কিংবা কখনও যদি কোনও বৈশাখী অনুষ্ঠানেও যেতে হয় তাহলে আমি শাড়ি পরতেই ভালোবাসি। এখন আর সেভাবে পয়লা বৈশাখ পালন করা হয় না। বাড়ির খাওয়াদাওয়া, টিভি দেখা, বাড়িতে রিল্যাক্স করা- এখন পয়লা বৈশাখে এটাই আমার সবচেয়ে পছন্দের কাজ।
এসএন