নতুন এক রহস্যময় ও ভয়ংকর রূপে ফিরছেন শাহরুখ খান। সিনেমার নাম ‘কিং’। পরিচালনায় আছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ, যিনি এর আগে পাঠান ও ওয়ার-এর মতো সুপারহিট চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
এই সিনেমায় শাহরুখ খান থাকছেন এক গ্রে ক্যারেক্টারে—যে চরিত্র তার আগের তৈরি ‘হিরো’ ইমেজকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুটিং শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ মে, মুম্বাইতে।
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির লক্ষ্য রাখা হয়েছে ২০২৬ সালের দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে।
কেন ‘কিং’ নিয়ে উত্তেজনায় বলিউড?
শাহরুখ অভিনয় করছেন এক নৈতিকভাবে জটিল, ছায়াচ্ছন্ন চরিত্রে, যেটিতে স্পষ্টভাবে অ্যান্টি-হিরোর ছাপ থাকবে।
সিদ্ধার্থ আনন্দ জানিয়েছেন, এটি হবে এক ‘ম্যাগনাম ওপাস’—অর্থাৎ তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় প্রজেক্টগুলোর একটি।
অভিনয়ে থাকছেন অভিষেক বচ্চন, সুহানা খান (এই প্রথম বড় পর্দায়), এবং অভয় বর্মা।
সিনেমাটির চিত্রায়ণ হবে ভারত, ইউরোপ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জুড়ে।
বিশেষ চমক:
সিনেমায় দীপিকা পাড়ুকোনের একটি ক্যামিও থাকতে পারে বলেও জল্পনা চলছে। যদিও এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
শাহরুখ কেন ‘গ্রে চরিত্রে’?
‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’-এর মাধ্যমে শাহরুখ খান একাধিকবার হিরো ইমেজে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করেছেন। এবার তিনি নিজেই নিজের ইমেজ ভেঙে সামনে আনছেন এক নৈতিক জটিলতায় ঘেরা চরিত্র, যা তার অভিনয় জীবনের নতুন অধ্যায় লিখতে পারে।
‘কিং’ শুধুমাত্র আরেকটি সিনেমা নয়—এটি হতে পারে শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সাহসী ও উচ্চাভিলাষী প্রয়াস।
শাহরুখের অন্ধকারময় রূপ, বিশ্বজুড়ে চিত্রায়ণ, বৃহৎ বাজেটের প্রোডাকশন এবং উৎসবকে কেন্দ্র করে মুক্তির পরিকল্পনা—সব মিলিয়ে ‘কিং’ হতে চলেছে বলিউডের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক।
আরএ