ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ফলিস্তিনি গোষ্ঠীর

ইসরায়েলের দেওয়া ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছিল ইসরায়েল।
 
যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার শর্ত দিলেও; তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ অথবা গাজা থেকে সেনাদের প্রত্যাহারের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে হামাস দখলদারদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে গত সপ্তাহে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নতুন প্রস্তাবটি দিয়েছিল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেখা করার কয়েকদিন পর যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবটি আসে।
 
এরপর হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া মিসরের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, “মিসরের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠানো ইসরায়েলের প্রস্তাবে হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ অথবা গাজা থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তাই হামাস এই পুরো প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করছে।”
 
ইসরায়েল এবারই প্রথমবার যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার কথা বলেছে। যেটি সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটির জন্য ‘রেডলাইন’।

ফিলিস্তিনি এ কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে। তারা হামলা চালিয়ে তাদের জিম্মিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় এখনো ৫৯ জিম্মি রয়েছে। যারমধ্যে ২৪ জন জীবিত।

এদিকে হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তারা মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক জিম্মি এডেন আলেক্সান্ডার যেসব যোদ্ধারে অধীনে ছিলেন। তাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছেন। হামদান অভিযোগ করেছেন, এডেন আলেক্সান্ডার যেখানে ছিলেন সেখানে সরাসরি বোমা ফেলা হয়েছে। তাদের ধারণা, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে এডেনকে হত্যার চেষ্টা করছে। যেন তাকে মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে যে চাপ দিচ্ছে, সেটি আর না দিতে পারে।

এমআর/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
পিএসসি সংস্কারে ১১ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম চাকরি প্রত্যাশীদের Jul 12, 2025
img
আইএসএল স্থগিত করল ভারতের ফুটবল ফেডারেশন Jul 12, 2025
img
হত্যাকারী যে-ই হোক তাকে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে : আমিনুল হক Jul 12, 2025
img
সরকার কেন এসব ঘটনা ও নৈরাজ্যকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, প্রশ্ন তারেক রহমানের Jul 12, 2025
img
টেনিস কোর্টে পার্টনার হিসেবে ধোনিকে চাইলেন সুর্যকুমার Jul 12, 2025
img
বিএনপিতে চাঁদাবাজদের জন্য কোনো জায়গা নেই: দুলু Jul 12, 2025
অগণতান্ত্রিক চক্রান্তে সতর্ক থাকার বার্তা যুবদল সভাপতির Jul 12, 2025
img
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যার আগে গুলি করা পুলিশ সদস্য গ্রেফতার Jul 12, 2025
img
রাশিয়া নিয়ে সোমবার ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা’ দেবেন ট্রাম্প Jul 12, 2025
মিডফোর্ডের ঘটনায় বিএনপিকে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুঁশিয়ারি Jul 12, 2025
img
অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ বন্ধে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স চুক্তি Jul 12, 2025
img
সায়মা ওয়াজেদকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেসসচিব Jul 12, 2025
img
প্রতিটি হামলার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন জড়িত : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন Jul 12, 2025
img
ফেনীতে বন্যার পানি নামছে, ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতি Jul 12, 2025
পুলিশের সুপারশপ ঘুরে দেখলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন আইজিপি Jul 12, 2025
চট্টগ্রামে ১১ খণ্ডে বিভক্ত লাশ! স্ত্রীর মরদেহ কমোডে ফ্লাশ করলো স্বামী! Jul 12, 2025
"বাবু খেয়েছো? জিগ্যেসের জন্যতো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বানাই নাই!" Jul 12, 2025
img
'ভিডিওতে থাকলেও আমি কাউকে মারিনি' মিডফোর্ডের ঘটনার আসামী টিটন Jul 12, 2025
img
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজনকে ওএসডি Jul 12, 2025