সিরিয়ায় সেনা উপস্থিতি কমানোর সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের দেশ সিরিয়ায় সেনা উপস্থিতি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

সিরিয়ার কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সেসব ঘাঁটিতে বর্তমানে রয়েছে প্রায় ২ হাজার মার্কিন সেনা। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ‍উত্থানের সময় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সেনাদের। সে সময় সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখল করে আলাদা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল আইএস; এই মার্কিন সেনাদের দায়িত্ব ছিল সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে আইএসকে প্রতিহত করা।

বর্তমানে অবশ্য আগের সেই অবস্থা আর নেই আইএসের। সিরিয়া-রাশিয়া-মার্কিন যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিজেদের কথিত সেই রাজ্যের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি ভূমি হারিয়েছে গোষ্ঠীটি, সাংগঠনিকভাবেও অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ার পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসায় দেশটিতে সেনা উপস্থিতি হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে সিরিয়াতে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি ১ হাজারে নামিয়ে আনা হবে, সেনা ঘাঁটির সংখ্যাও কমানো হবে।

আইএস এবং রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কারণে এক সময় সিরিয়া নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দুশ্চিন্তার আরও একটি কারণ ছিল বাশারের সঙ্গে ইরানের মিত্রতা। মূলত সিরিয়ার সীমান্ত ব্যবহার করে লেবানন ও গাজায় অস্ত্র ও রসদ পাঠাত ইরান।

গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামসের (এইচটিএস) নেতৃত্বে পরিচালিত এক ঝটিকা অভিযানে পতন ঘটে বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের, বাশার নিজে সপরিবারে পালিয়ে যান রাশিয়ায়। বর্তমানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল শরা-কে নিয়ে ওয়াশিংটনের তেমন কোনো দুশ্চিন্তা নেই।

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খালেদা জিয়া ভোর ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন: ডা. জাহিদ Dec 30, 2025
img
মৃত ঘোষণার সময় বেগম জিয়ার পাশে তারেক রহমানসহ দলের বিশ্বস্ত মুখগুলো Dec 30, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক Dec 30, 2025
img
জকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু সকাল সাড়ে ৮টায় Dec 30, 2025
img
৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও দাখিলকারীর সংখ্যা জানাল ইসি Dec 30, 2025
img
বাংলাদেশে এলে মনে হয় দেশেই আছি: সালমান মির্জা Dec 30, 2025
img
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই Dec 30, 2025
img
নিজ বাসভবনে হামলার খবর পুতিনই ফোনালাপে জানিয়েছেন: ট্রাম্প Dec 30, 2025
img
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি প্রার্থী গ্রেপ্তার Dec 30, 2025
img
দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার বাস্তব চিত্র নিয়ে সোচ্চার পিয়া জান্নাতুল Dec 30, 2025
img
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ইরানে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Dec 30, 2025
img
ব্যক্তিগত সব পুরস্কার পাওয়ার পর দল ও পরিবারকে দেম্বেলের ধন্যবাদ Dec 30, 2025
img
হবিগঞ্জ-৪ আসনে আলোচিত বক্তা তাহেরীর মনোনয়ন দাখিল Dec 30, 2025
img
শিবাম পণ্ডিত ফিরছেন আরও অন্ধকার রূপে, আলোচনায় ‘আওয়ারাপান টু’ Dec 30, 2025
শান্তি চুক্তির পর ইউক্রেনকে ১৫ বছর নিরাপত্তার গ্যারান্টি যুক্তরাষ্ট্রের Dec 30, 2025
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাইওয়ান ঘিরে চীনের নতুন রণপ্রস্তুতি ও মহড়া | Dec 30, 2025
ভারতীয় অপারেশন সিঁদুরের জেরে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করল পাকিস্তান Dec 30, 2025
ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা Dec 30, 2025
এনসিপিতে যোগ দিলেন আসিফ মাহমুদ, অংশ নেবেন না নির্বাচনে Dec 30, 2025
স্মৃতিকাতর সাফা, নেটিজেনদের মন জয় Dec 30, 2025