চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। তবে এ ম্যাচ হারলেও বেশ খুশি বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। কেননা, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমির টিকিট কাটে কাতালানরা।
টানা ২৪ ম্যাচ পর আর নতুন বছরে প্রথম হার। বল দখল কিংবা লক্ষ্যে শট, সবকিছুতেই এদিন নিজেদের জৌলুস হারায় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠে যে এমনভাবে নাস্তানাবুদ হবে কাতালান ক্লাবটি তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেনি বার্সা। তবে জয়ের ট্রেন থামিয়ে হারের লজ্জা পেলেও, ৬ বছর পর ঠিকই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের টিকিট কাটলো হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
এ দিন বার্সেলোনার আক্রমণভাগ ছিলো একেবারেই নিস্প্রভ। ইয়াং স্টার লামিনে ইয়ামাল, অভিজ্ঞ লেভানডোভস্কি ও রাফিনিয়ারা পুরো ম্যাচজুড়ে নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন। প্রতিপক্ষের রক্ষণে বারবার খেই হারিয়ে ফেলেন তারা। বার্সার একমাত্র গোলটি আসে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী থেকে।
বার্সেলোনার হতাশার ছাপ ফুটে ওঠে ম্যাচের পরিসংখ্যানেও। বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিলো বটে, তবে গোলের জন্য মাত্র ৭টি শট নিতে পেরেছে বার্সা। তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিলো মাত্র দুটি শট। বিপরিতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড গোলের জন্য শট নিয়েছে ১৮টি, লক্ষ্যে ছিলো ১১টি।
প্রতিপক্ষের মাঠে এমন কিছু যে ঘটতে পারে, তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলো হান্সি ফ্লিক। কিন্তু ম্যাচ হারলেও সেমি-ফাইনালের টিকিট পেয়ে খুশি বার্সেলোনার কোচ।
‘ডর্টমুন্ড খুব ভালো খেলেছে। দিনটি আমাদের ভালো কাটেনি। আমার মনে হচ্ছিলো, আজ এমন কিছু হবে, কারণ এই স্টেডিয়াম সম্পর্কে আমি ভালোভাবে জানি।’
বার্সা কোচ আরও বলেন, ‘আমাদের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো হয়নি, কিন্তু ডর্টমুন্ড খুব ভালো খেলেছে। তবে আমার দলকে অভিনন্দন, আমরা সেমি-ফাইনালে উঠেছি। আমরা খুশি, আমি দল ও ক্লাবের জন্য খুব খুশি।’
কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আজ রাতে মাঠে নামবে ইন্টার মিলান ও বায়ার্ন মিউনিখ। যদিও প্রথম লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে এগিয়ে আছে ইন্টার। আর এখান থেকে যারা সেমিতে উঠবে, তাদেরকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে বার্সেলোনা।
আরআর/এসএন