বিয়ে হলে সন্তান নিয়ে সকলে ভাবে, তবে আমরা পরিকল্পনা করে এগোইনি : অহনা দত্ত

গত মাসে সুখবর দিয়েছেন অহনা দত্ত। মা হতে চলেছেন এই অভিনেত্রী। চলতি বছরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে সেরেছিলেন তিনি। পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই প্রেমিকের সঙ্গে প্রথমে একত্রবাস এবং পরে তাঁকে বিয়ে করেন অহনা। পরিকল্পনা নয়, বরং বরাবর মনের কথা শুনেই জীবনে এগোন। একই ভাবে মাতৃত্বের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন অহনা।

মা হওয়ার ইচ্ছে ছিল ঠিকই। কিন্তু বিয়ের পরে আলাদা করে পরিবার পরিকল্পনা করেননি তিনি। আনন্দবাজার ডট কমকে অহনা বলেন, “আমি আসলে কিছুই ভাবিনি। আমি মনে করি, জীবনটাই খুব অনিশ্চিত। জীবন আমাকে বহু বার অবাক করেছে। জীবনে কোনও কিছুই আমি পরিকল্পনা করে করি না।”

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজও মাতৃত্বকেই মহিলাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করা হয়। আবার অনেকেই মনে করেন, অন্য সব কিছুর মতোই মাতৃত্ব কেবল একটি ‘চয়েস’। অহনার বক্তব্য, “বিয়ে করলে মানুষ সন্তান নিয়ে ভাবে নিশ্চয়ই। কিন্তু সন্তানই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল না। বিয়ের পরেই আমাদের সন্তানের জন্ম দিতে হবে, এমন কোনও লক্ষ্য আমাদের ছিলই না। এই মাতৃত্ব আমাদের কাছে এসেছে উপহারের মতো।”

অপরিকল্পিত ভাবে সবটা হয়েছে। কিন্তু মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে গর্বিত অহনা। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি সত্যি খুশি। এত অল্প বয়সে এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরে আমি গর্বিত। এখন এটা সম্পূর্ণ আমার এবং আমার স্বামীর সিদ্ধান্ত। কেন এত তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেই কারণ কাউকে দর্শাইনি।”

মা হওয়ার পরেও জীবনে আলাদা করে কোনও পরিবর্তন হবে না। বিশেষ করে কাজের জগতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে তিনি জানান। অহনার কথায়, “মা হওয়ার পরও এ ভাবেই জীবন চলবে। আমাদের বাবা-মায়েরাও তো আমাদের জন্মের পরে কাজ চালিয়ে যেতেন। মাতৃত্বই সবচেয়ে বড় সাফল্য কি না বলতে পারব না। তবে আমি মনে করি, জীবনে সমতা বজায় রাখাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। যে মানুষ নিজের কাজ ও সংসার সমান ভাবে সামাল দিতে পারে, সে-ই সবচেয়ে বেশি সফল। তা ছাড়া, আমার কাছে পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। ”

চিকিৎসক বলেছেন, অগস্ট মাসে সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। মানসিক ভাবে প্রস্তুত অভিনেত্রী বলেন, “এই সময়টা সব মহিলাদের কাছেই খুব বিশেষ। যদিও এই সময়টা মোটেই সহজ নয়। তবে বাড়িতে যখন একা থাকি, বুঝতে পারি আমার সঙ্গে আরও একজন রয়েছে। সেই অনুভূতিটা খুব সুন্দর।”


আরএম/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশ ১৭৯ রানের সহজ লক্ষ্য দিলো পাকিস্তানকে Apr 19, 2025
img
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি শিল্পখাতের জন্য আত্মঘাতী হবে Apr 19, 2025
img
শেখ হাসিনা-কাদের-আসাদুজ্জামানসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Apr 19, 2025
img
আরসিবির হারে ক্ষুব্ধ বীরু: ‘কমন সেন্স দেখাতে পারলেন না বিরাটরা’ Apr 19, 2025
img
‘মায়ায় জড়ানো এক নাম তা হলো তুমি’, অনন্তর জন্মদিনে বর্ষা Apr 19, 2025
img
হান্নান মাসউদ জানালেন, ছবির সেই অফিসটির মালিক কে Apr 19, 2025
img
‘বরবাদ’-এর প্রযোজকের অভিযোগ: হল মালিকরা দিচ্ছেন না আয়ের সঠিক হিসাব Apr 19, 2025
img
ডিপিএলে বিতর্কিত আউট ঘিরে তদন্ত, বিসিবি সভাপতির সতর্ক বার্তা Apr 19, 2025
img
অবৈতনিক মুখপাত্র আবিদের নিয়োগ বাতিল Apr 19, 2025
img
'চুরি-কালো টাকার ভোট দেখতে চায় না জামায়াত' Apr 19, 2025