বলিউডে এখন গুঞ্জন তুঙ্গে। কারণ, সালমান খান অবশেষে এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। বহু বছর ধরে নিজের ছবি তো বটেই, পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কেরিয়ার এগিয়ে নিতে বারবার নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন এই সুপারস্টার। কিন্তু এবার তিনি বুঝিয়ে দিলেন—সময় এসেছে নিজের ব্র্যান্ড রক্ষা করার।
সোহেল খানের আসন্ন গ্যাংস্টার-কমেডি ঘরানার ছবির প্রাথমিক ঘোষণাতেই ছিল সালমান খানের উপস্থিতি। ছবির নাম "গঙ্গারাম", যেখানে অভিনয় করার কথা ছিল সঞ্জয় দত্ত ও আয়ুষ শর্মার। পরিচালনায় ফিরছিলেন সোহেল খান নিজেই। ভাইয়ের এই প্রকল্পে সালমানের যোগদান নিয়ে ভক্তদের মধ্যে যেমন উন্মাদনা ছিল, তেমনি ছিল সংশয়ও।
অবশেষে সেই সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে সালমান নিজেই সরে দাঁড়ালেন এই ছবির পরিকল্পনা থেকে। বলিউড মহলে গুঞ্জন উঠেছে, এটি শুধু একটি ছবি থেকে সরে আসা নয়—এ যেন নিজের পেশাদার জীবনের জন্য এক সাহসী সিদ্ধান্ত।
গত কয়েক বছর ধরে মুক্তি পাওয়া সালমানের একাধিক ছবি যেমন ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’, ‘অন্তিম’, ‘রাধে’, কিংবা ‘টিউবলাইট’—সবগুলোই বক্স অফিস ও সমালোচক মহলে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। অনেকেই বলছেন, নিজের স্টারডমকে আঁকড়ে ধরে থাকা সত্ত্বেও, বারবার পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়ে দুর্বল চিত্রনাট্যে কাজ করা সালমানের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবার সেই চক্র থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিলেন সালমান। ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, তিনি এখন মনোযোগ দিচ্ছেন শক্তিশালী গল্প, নতুন প্রজন্মের পরিচালকের সঙ্গে কাজ এবং বেছে বেছে স্ক্রিপ্ট নির্বাচন করার দিকে। বন্ধুত্ব নয়, এখন প্রাধান্য পাচ্ছে গুণমান ও দর্শকের প্রত্যাশা।
সালমান খানের এই সিদ্ধান্তে ভক্তমহল যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে স্বস্তির প্রতিক্রিয়া—"অবশেষে ভাই নিজেকে গুরুত্ব দিলেন", "এটাই ছিল সময়ের দাবি", এমন মন্তব্যেই ভরে উঠেছে নানা প্ল্যাটফর্ম।
এখন প্রশ্ন একটাই—এই সাহসী সিদ্ধান্ত কি সালমানের ক্যারিয়ারে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে? সময়ই দেবে উত্তর, তবে বলিউডের বর্তমান বাস্তবতায়, এমন আত্মসম্মানবোধই হয়তো হয়ে উঠবে তার পরবর্তী সাফল্যের চাবিকাঠি।
এসএম/টিএ