বিজিবির হস্তক্ষেপে মাটি কাটা বন্ধ করলো বিএসএফ

লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর বিরুদ্ধে শূন্যরেখা থেকে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে দহগ্রাম বিওপির অন্তর্গত তাঁতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টাও করেছিল বিএসএফ, যা নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যদের হস্তক্ষেপে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নিজেদের অভ্যন্তরে সীমান্ত পিলারের কাছে মাটি খননের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন বিজিবি সদস্যরা জানতে পারেন, সীমান্ত পিলার ডিএএমপি ৭ থেকে মাত্র ৭০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ সদস্যরা এক্সক্যাভেটর (ভেকু মেশিন) ব্যবহার করে মাটি খনন করছে এবং সেই মাটি ট্রলিযোগে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এই কাজে স্থানীয় ভারতীয় নাগরিকদেরও ব্যবহার করা হচ্ছিল।

সীমান্তের এতো কাছে এ ধরনের কার্যক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তৎপর হয় বিজিবি। দহগ্রাম বিওপির একটি চৌকস টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিএসএফের এই কাজের প্রতিবাদ জানায় এবং অবিলম্বে খনন বন্ধ করার দাবি তোলে।

বিজিবির পেশাদারি মনোভাব ও কঠোর অবস্থানের মুখে বিএসএফ সদস্যরা খনন কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তারা দ্রুত তাদের এক্সক্যাভেটর ও ট্রলি সরিয়ে নেয় এবং ভবিষ্যতে সীমান্ত শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে এ ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি করবে না বলে বিজিবি টহল দলকে আশ্বস্ত করে।

এ বিষয়ে ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম আলদীন বলেন, আমাদের টহল দলের সদস্যরা অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। বিএসএফ সীমান্ত আইন ও প্রটোকলের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সীমান্তের এতো কাছে খনন কাজ চালাচ্ছিল, যা আমরা সফলভাবে বন্ধ করেছি। যেকোনো সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত এবং দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিএসএফকে এ বিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং সীমান্তে আমাদের নজরদারি ও টহল বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আরএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে সাকিবের দুবাই ক্যাপিটালস Jul 14, 2025
img
লন্ডনে উড্ডয়নের পরই ভেঙে পড়ল বিমান Jul 14, 2025
img
মাদারীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১ জনের Jul 14, 2025
img
ফরিদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে আটক ৩ রোহিঙ্গা নাগরিক Jul 14, 2025
img
মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৩ Jul 14, 2025
img
গাজীপুরে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে Jul 14, 2025
img
ঐশ্বরিয়ার গুণের প্রশংসা করেছিলেন শাশুড়ি জয়া বচ্চন Jul 14, 2025
img
দিলজিতের ‘পাঞ্জাব ৯৫’ ছবি ঘিরে নতুন বিতর্ক! Jul 14, 2025
img
আরও ২ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা দিলেন মিটফোর্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা Jul 14, 2025
img
পিএসজিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতল চেলসি Jul 14, 2025
img
ক্যারিয়ার বাঁচাতে অনৈতিক কাজে অভিনেত্রী! গ্রেফতার হয়েছিলেন হোটেল থেকে Jul 14, 2025
img
উইম্বলডনে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেলেন সিনার Jul 14, 2025
img
পুলিশের পরিচয় দিয়ে খাদ্য কর্মকর্তাকে অপহরণ, ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার Jul 14, 2025
img
নড়াইলে আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মী কারাগারে Jul 14, 2025
img
জমে উঠেছে লর্ডস টেস্ট, শেষ দিনে কে হাসবে বিজয়ের হাসি? Jul 14, 2025
img
'খারাপ ব্যাটিং ও বাংলাদেশের দারুণ ফিল্ডিংয়ের কারণে আমরা হেরেছি' Jul 14, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে বিএনপির নতুন প্রস্তাব Jul 14, 2025
img
ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল কি না, জানালেন শেহবাজ Jul 14, 2025
img
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে: বিশ্বব্যাংক Jul 14, 2025
img
আমি সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি: শামীম Jul 14, 2025