১৯৯২ সালে "দেওয়ানা" সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করা শাহরুখ আজ বিশ্বব্যাপী কিং খানের খেতাব অর্জন করেছেন। তবে তিনি জানান, "এত খ্যাতি, এত অর্থ, এত ভালোবাসা পেয়েও আমি কেন যেন একা অনুভব করি।" ১৯৯৭ সালে সিমি গারেওয়ালের শো-তে প্রথমবারের মতো এই একাকীত্বের অনুভুতি শেয়ার করেছিলেন, যেখানে বলেছিলেন, "আমি নিজেই অনেক একা অনুভব করি।"
আজ ২০২৫ সালে এসে সেই একাকীত্বের অনুভব আরও গভীর হয়েছে। শাহরুখ খানের মতে, জীবনের সবচেয়ে কঠিন বিষয় হলো জীবিত থাকা। তিনি বলেন, “আমি শুধু বলতে চাই—‘আমি জীবিত আছি’। জীবনের আনন্দটাই সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে, চলচ্চিত্রের চরিত্র পর্যন্ত শাহরুখের জীবন যেন এক অনুভূতির খেলা। তিনি আরও জানান, "খ্যাতি একাকীত্ব কমায় না, বরং তা আরও বাড়িয়ে দেয়।" সহকর্মী, ক্যামেরা, এবং ভক্তদের মধ্যে থেকেও তিনি নিজের মনের একাকীত্ব অনুভব করেন।
এছাড়াও, শাহরুখের অনেক সিনেমার চরিত্র যেমন "স্বদেশ" এবং "মাই নেম ইস খান"-এ আত্মপীড়ন, নিঃসঙ্গতা এবং অন্তর্মুখিতার মতো বিষয় উঠে এসেছে, যা তার বাস্তব জীবন থেকে কম-বেশি মিল পাওয়া যায়।
এই খোলামেলা আত্মপ্রকাশটি শোবিজ দুনিয়ায় শাহরুখের সবচেয়ে শক্তিশালী পারফরম্যান্স হতে পারে, যেটি ভক্তদের এবং সাধারণ মানুষের মনে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনবে। শাহরুখ খান তার স্বীকারোক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, বাস্তব জীবনে তিনি যেমন সুপারস্টার, তেমনি একটি সাধারণ মানুষও।
আরএ