ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি কমানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের অবসান ঘটেছে। আজ বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সভার পর এই অস্থিরতা অনেকটাই প্রশমিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত এবং আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান। যদিও শরফুদ্দৌলা ইতিমধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন, আজকের আলোচনার পর তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
ইফতেখার রহমান সাংবাদিকদের জানান, “সৈকতকে আমরা বিষয়টি বুঝিয়েছি এবং সে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।” তিনি আরও স্বীকার করেন, “প্রক্রিয়াটি ভুল ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, শাস্তি কমানো বা মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেবল সিসিডিএম বা এর টেকনিক্যাল কমিটির রয়েছে।”
এর প্রেক্ষিতে হৃদয়ের শাস্তি আবারও কার্যকর করা হয়েছে—তিনি আগের মতোই এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ থাকছেন।
এই ঘটনার রেশ গিয়ে পৌঁছায় সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটিতেও। হৃদয়ের শাস্তি কমানোর বিরোধিতা করে এর আহ্বায়ক এনামুল হক পদত্যাগ করেন। তাঁর স্থানে এখন দায়িত্ব নিচ্ছেন বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন।
উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে হৃদয়কে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়, দেওয়া হয় চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট ও ৮০ হাজার টাকা জরিমানা। একই ঘটনায় ইবাদত হোসেনকেও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসএস/টিএ