ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যামলায় প্রধান আসামিসহ ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে আমরা অবগত হয়েছি। কিন্তু যে দুইজন নারী শিক্ষার্থী এ ঘটনায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ট্রেস করতে পারেনি। ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদেরকে রিমান্ডে নিলে রহস্য উদঘাটন হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজের গ্রামের বাড়ি ময়মসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামের পাঠক বাড়িতে গিয়ে পারভেজের কবর জিয়ারত, তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলার পর উপস্থিত সংবাদকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, পারভেজ হত্যাকাণ্ডের সাথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে যারা রয়েছে, বিশেষ করে বনানী থানার তাদের বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্তরা রয়েছে। ইতোমধ্যে তদের একজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। আমরা তাদের প্রতি আহবান জানাই, তারা যেনো তাদের সংগঠনকে যেনো চেইন অব কমান্ডের মাঝে নিয়ে আসে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজ বিরুদ্ধে এবং অর্থের জন্যে যারা রাজনীতি করে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম যদি একবার বিপথগামী হয়ে যায়, সে প্রজন্মকে আর সুপথে নিয়ে আসা যাবে না। এখনো বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বেশ কিছু অনুসারী এখনো স্বপ্ন দেখে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবারো বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার। কতটা বিভ্রান্ত্র হলে দুই হাজারেরও অধিক ছাত্রজনতাকে হত্যার পরও একটা ছাত্র সংগঠন এরকম স্বপ্ন দেখতে পারে!
স্থানীয় সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেদিন বিকেলে পারভেজ হত্যাকাণ্ডের পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব সরাসরি বনানী থানায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। হত্যাকাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা জড়িত তাদের যেনো আসামি না করা হয় সে জন্যে তারা সর্বদিক দিয়ে সর্বোচ্চ প্রেসার ক্রিয়েট করেছে।সেদিন রাতে তারা যে প্রেস কনফারেন্স করেছে এটি তাদের নেতৃত্বের ইমমেচ্যুরিটি বলে মনে করবো।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রদল ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। আমরা পাভেজের পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি তারা তাদের একমাত্র ছেলে সন্তানকে হারিয়েছে। কিন্ত ভালুকা উপজেলার ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তাদের সন্তান হিসাবে সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবিএম ইজাজুল কবির রুয়েল, মশিউর রহমান মামুন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আবু হোরায়রা, সাধারণ সম্পাদক এম রাজীবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রানা, সাধারণ সম্পাদক দাউদ রায়হান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাঈমুল করিম লুইন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, ভালুকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খান সানী, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ পাঠান ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে তিনি পারভেজ হত্যাকীদের ফাঁসির দাবিতে ভালুকা সদরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
এমআর/টিএ