বিচ্ছেদ মানেই কি শুধুই তিক্ততা?
এই প্রশ্নের উত্তর যেন খুঁজে পাওয়া গেল সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তী এআর রহমান ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সায়রাবানুর আচরণে। ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার পর চারদিকে যখন নানা গুঞ্জন, সমালোচনা ও কটাক্ষ, তখনও শান্ত ও পরিণত ভঙ্গিতে পরিস্থিতি সামলেছেন দুজনেই।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন রহমান ও সায়রাবানু। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহমানের টিমের গিটারবাদক মোহিনী ঘোষণাও আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় নানা রকম চটুল ও ভিত্তিহীন গুজব। এমনকি রহমানের চরিত্র নিয়েও উঠতে থাকে নানা প্রশ্ন। সেই সময় রহমানের টিম জানিয়ে দেয়, মিথ্যা ও আপত্তিকর খবর রটালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিভোর্সের মাসখানেক পর, সম্প্রতি নয়নদীপ রক্ষিতের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রোল সংস্কৃতি নিয়ে খোলাখুলি মতামত দেন এআর রহমান। তিনি বলেন, “জেনেবুঝেই জনসমক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধনী ব্যক্তি থেকে শুরু করে ঈশ্বর পর্যন্ত, কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নন, তো আমি কোন ছাড়! যারা আমার সমালোচনা করেন, তারাও আমার পরিবার। আমাকে নিয়ে কেউ নোংরা মন্তব্য করলে আমি পালটা ঈশ্বরকে বলি— ওদের ক্ষমা করে দিও।”
রহমানের এই বক্তব্যে যেমন মাধুর্য, তেমনই রয়েছে পরিপক্বতা। বিচ্ছেদের পরেও সম্পর্ক, সম্মান ও শ্রদ্ধাকে কীভাবে অটুট রাখা যায়, তা যেন বুঝিয়ে দিলেন এই মিউজিক মায়েস্ত্রো।
এসএস