ডিপিএলে শাইনপুকুরের বিপক্ষে মাঠে নামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নিয়মানুযায়ী দলের হয়ে টস করতে গিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে নামার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হার্টে রিং পরানো হয় এই ক্রিকেটারের। বর্তমানে তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে উত্তাল ক্রিকেট পাড়া। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মোহামেডানের ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিসিবি কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এদিনই প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
ডিপিএলে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে গিয়ে বিকেএসপিতে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর থেকেই মাঠের বাইরে রয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তামিম।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে এক কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন তামিম। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের দুজন স্পোর্টস কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গেও পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তামিমের শরীরের বর্তমান অবস্থা অনেকটা ভালো।
মিরপুরে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) নিজের শরীরের অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের তামিম বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে খুবই ভালো আছি। সবাইকে ধন্যবাদ আমার জন্য দোয়া করার জন্য। তিন মাস পর ইনশাল্লাহ (ফিরবো)।’
এরপর তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলো ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের সাথে এভাবে করলে হয় না।
টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক আরও জানান, বোর্ড প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছিলাম আসার জন্য, উনি এসেছেন। সাথে আরও ২ জন বোর্ড পরিচালক ছিলেন। লম্বা আলোচনা হয়েছে। বলেছি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন, আমাদের জানান। যেহেতু কাল খেলা। আমার মনে হয় খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবেন।
উল্লেখ্য, বিকেএসপির মাঠে ডিপিএলে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে গিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। দলের (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব) ম্যানেজার শিপনের সঙ্গে আলোচনা করে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে তাকে নিকটতম কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
আরআর/এসএন