ধর্ষণ ঠেকাতে না পারলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দেন: আব্দুস সালাম

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, "এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং মর্মান্তিক যে আজ আমাকে এমন একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে কথা বলতে হচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। ৫ আগস্টের ঘটনার পর আমরা কখনোই চাইনি জাতি আবার এমন দুঃখজনক অবস্থার মুখোমুখি হবে।"

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আবদুস সালাম বলেন, "ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, যারা শরীরের অঙ্গ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারগুলোর আজও যখন চিকিৎসার সুযোগের জন্য কাঁদতে হয়, তখন সেই ব্যথা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছি, কীভাবে আহত মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলার শিকার হয়েছিলেন। আজও একই দৃশ্য আমাদের দেখতে হচ্ছে। তখনো যেমন মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে কেউ কেউ নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিল, আজও শহীদ পরিবারের সন্তানেরা অবহেলার শিকার।"

আব্দুস সালাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, "আগস্টের ফ্যাসিবাদকে বিদায় করতে যেয়ে যারা রক্ত দিয়েছে যারা শহীদ হয়েছে এখন তার পরিবার তাদের ছেলেমেয়ে এইভাবে ধর্ষিত হবে। আমাদের আদাবর এলাকার শহীদ জসিম, যিনি বিএনপির ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন, তাঁর পরিবারকেও আমরা দলীয়ভাবে সাহায্য করে আসছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব শুরু থেকেই এই পরিবারের খোঁজখবর রাখছেন এবং সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু সরকার আজও তাদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি।"

তিনি আরও বলেন, "আজকের এই সরকার জবাবদিহিতার কোনো ধার ধারে না। ৫ আগস্টের শহীদদের পরিবারের সন্তানদের যদি আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে তা সরকারের জন্য চরম লজ্জার বিষয়। যদি সরকার ন্যূনতম দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা হোক, যাতে অন্তত কিছু জবাবদিহিতা থাকে।"

আব্দুস সালাম লামিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশবাসীর প্রতি দোয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "আল্লাহ যেন তাকে শহীদের মর্যাদা দিয়ে জান্নাত নসিব করেন এবং তাদের পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দেন। আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ ছাড়া এখন আর কিছু বলার নেই।"

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সরাসরি চুক্তিতে ফাহিম আশরাফকে দলে ভেড়াল রংপুর রাইডার্স Dec 04, 2025
img
জামায়াতের নির্বাচনী সভায় হামলায় আহত ৩০ Dec 04, 2025
img
অনুশীলনে হ্যামস্ট্রিং চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন আনসু ফাতি Dec 04, 2025
img
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৯ নারী ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ Dec 04, 2025
img
রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে পাকিস্তান Dec 04, 2025
img

বিডিআর তদন্ত রিপোর্ট

৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা প্রকাশ Dec 04, 2025
img
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস Dec 04, 2025
img
আকাশে দেখা মিলবে বছরের শেষ সুপারমুন Dec 04, 2025
img
গণতন্ত্র ও উন্নয়নের স্বার্থে ধানের শীষকে বিজয়ী করুন : সালাহউদ্দিন আহমদ Dec 04, 2025
img
পাবনার সেই মা কুকরটিকে দেয়া হলো দুটি নতুন ছানা Dec 04, 2025
img
সরকারের অনুমোদিত সংস্থা ফোনে আড়ি পাতবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 04, 2025
img
তফসিল ঘোষণার আগে ফের সংশোধন হচ্ছে আরপিও Dec 04, 2025
img
ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনল দক্ষিণ আফ্রিকা Dec 03, 2025
img
পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে 'উগ্র ইসলামিস্ট' বলে অভিহিত করলেন ইমরান খানের বোন Dec 03, 2025
img
‘রাক্ষস’ কি ছাড়াতে পারবে ‘বরবাদ’? মন্তব্য প্রযোজকের Dec 03, 2025
img
ওটিটি অভিষেকেই সাড়া ফেললেন রাজকুমারের ছেলে বীর হিরানি Dec 03, 2025
img
পটিয়ায় যুবলীগ নেতা সায়েম গ্রেপ্তার Dec 03, 2025
img

হিরো আলমকে হামলা

রিয়াজ-মিথিলার জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি Dec 03, 2025
img
গাইবান্ধায় সার ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন Dec 03, 2025
img
৫০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক দাবি করলেন ধানুশ Dec 03, 2025