উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ : মজিবুর রহমান মঞ্জু

অবহেলা ও উপেক্ষার জন‍্য উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়ার আত্মহননের দায় থেকে আমরা কেউ মুক্ত নই, এর দায় আমাদের সবার।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ৬ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদের কন্যা লামিয়ার আত্মহত্যার জন্য আমরা সবাই লজ্জিত।

এই আত্মহত্যা আমাদের প্রত্যেকের বিবেককে কুঁড়ে কঁড়ে খাচ্ছে। লামিয়ার আত্মহত্যার দায় আমাদের সবার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে এর জন‍্য মামলা হওয়া উচিৎ। 

তিনি বলেন, একটি জাতির ইতিহাস না থাকলে সেটি জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারে না।

ঠিক তেমনি একটি দল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটেও ইতিহাস থাকে। আমাদের দলেরও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে। আমাদের মধ্যে একটা আকাঙ্ক্ষা ছিলো একটা নতুন রাজনৈতিক উদ্যেগ। নতুন কিছু খুঁজতে চাওয়ার, আমরা যেটির নাম দিয়েছিলাম জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ।

আমাদের মধ্যে একটা আকাঙ্খা ছিলো, নতুন কিছু করার আকাঙ্খা। কয়েকজন একত্র হলেই বলতাম কিছু একটা করা যায় কি না! আস্তে আস্তে লেখালেখি করে আমাদের চিন্তাগুলো সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিলাম।

তিনি আরো বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায়, যেটি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নেই একটা ঘোষণাপত্র তৈরী করব। এই ঘোষণাপত্র অনেক খ্যাতিমান গুণিজনদের পাঠিয়ে পরামর্শ নেই।

তখন আমরা চিন্তা করে জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক প্ল্যাটফর্ম গঠন করি। অনেক শলাপরামর্শ করে আমরা হোটেল ৭১ এ জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ঘোষণা দেই। ঘোষণা দেওয়ার প্রাক্কালে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হই, আমরা পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করি। সেদিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আমরা প্রোগ্রাম করি। সেদিনের যাত্রাটি সফলভাবে শুরু করতে পেরেছি। অনেক দূর্দশা মেনে নিয়ে আমরা নতুন প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু করি। ইনক্লুসিভ পলিটিক্স করার লক্ষ্যে আমরা নতুন প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা দেই।

তিনি জানান, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে নতুন একটি রাজনৈতিক দল অপরিহার্য হয়ে পড়ে। যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো মুক্তিযুদ্ধ ও তত্ত্ব মতবাদ বিতর্কে আবদ্ধ ঠিক তখনই নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল ‘জনআকাঙ্খার বাংলাদেশ’ নামক প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়। সেই জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক প্ল্যাটফর্মটিই আজকের ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’তে রুপান্তরিত হয়।

পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন- দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, এবিএম খালিদ হাসান, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, শ্যাডো অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস ইসলাম খান নোমান, জাগপার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) এম আমজাদ খান, কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান, ওবায়দুল্লাহ মামুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) শাহজাহান বেপারী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা ও নারী বিষয়ক সহ সম্পাদক আমেনা বেগম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ, সফিউল বাশার, শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক আজিজা সুলতানা, শিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক ফয়সাল মনির, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সহ সম্পাদক মাসুদ জমাদ্দার রানা, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, সহ প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, রিপন মাহমুদ, সহ দপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, যুবপার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক স্থপতি আবুল কালাম মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য হাজরা মেহজাবিন, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সী, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক আরিফ সুলতান সহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। 

এসএম/টিএ

Share this news on: