রাখাইনে করিডর দেওয়ার এখতিয়ার এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের নেই, বলেছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। কারণ এই সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই। সংসদের কাছে জবাবদিহিতা নেই।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, করিডর দেওয়া না দেওয়া রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন নিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। অন্তবর্তী সরকারের উচিত সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে করিডরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ।
গত ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, এ বছরের প্রথমার্ধে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করেছিল জাতিসংঘ। এ জন্য গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের কাছে জাতিসংঘ ‘করিডর’ দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব বলেছিলেন উপদেষ্টা।
আরএ/টিএ