হইচই ফেলেছে টিকটকারের জীবন নিয়ে তৈরি নাটক ‘হ্যালো গায়েজ’

প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছে এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ও মেধাবী নির্মাতা মহিদুল মহিমের নাটক ‘হ্যালো গায়েজ’। এক টিকটকারের জীবনের বাস্তবধর্মী গল্প পর্দায় সুনিপণভাবে তুলে ধরে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন এই নির্মাতা। আর সেই টিকটকার ও তার স্ত্রীর চরিত্রে মুশফিক আর ফারহান এবং কেয়া পায়েলের অনবদ্য অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক।

‘বর্তমান সমাজের সঙ্গে মিল আছে এ নাটকের’, ‘এখনকার সময়ের বাস্তবচিত্র..’, এমন হাজারো মন্তব্যে ছেয়ে গেছে ইউটিউবে একটি নাটকের মন্তব্যের ঘর। নাটকটি দেখে ইউটিউবে মন্তব্য করেছেন সাত হাজার দর্শক। শুধু তা–ই নয়, নাটকটি এখন ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে তিনে রয়েছে, আর নাটকের মধ্যে প্রথমে। ইউটিউবে নাটকটির ভিউ ছাড়িয়েছে ৫৬ লাখ।

‘হ্যালো গায়েজ’ নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর পরিবারকে ঘিরে। যারা জীবনের সব মুহূর্ত ভাগ করে নেয় অনলাইনে। পরিবারের বিভিন্ন সংকট থাকলেও দর্শকের সামনে চাকচিক্য উপস্থাপন করেন। তবে একটা সময় পড়ে তাদের ভুল ভাঙে। তারা বাস্তবতা উপলব্ধি করে। রিলস যে আমাদের জীবনের সুন্দর মুহূর্ত কেড়ে নিচ্ছে, তা ওঠে এসেছে নাটকটিতে। এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল।

‘হ্যালো গায়েজ’ নাটকের দৃশ্যে অনবদ্য অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল,নাটকটি নিয়ে নির্মাতা মহিদুল মহিম বলেন, ‘একটা হাস্যরসাত্মক গল্পের মধ্য দিয়ে বর্তমান বাস্তবতা তুলে ধরতে চেয়েছি। রিলস আমাদের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলছে। এখন অনেকেই মনে করেন প্রচুর অর্থ কামাতে হলে পরিশ্রমের দরকার নেই, ফেসবুক, ইউটিউব থেকেই লাখ লাখ টাকা আসবে। হয়তো ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন এখানে সফল, কিন্তু এই লোভে সবাই ছুটছেন। এর ফলে পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন থেকেও অনেকেই দূরে সড়ে যাচ্ছেন। এর কুফল বোঝাতে চেয়েছি।’

নির্মাণের পাশাপাশি ‘হ্যালো গায়েজ’ নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য মহিদুল মহিমের। ফারহান-কেয়া পায়েল ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আরফান মৃধা শিবলু, আমানুল হক হেলাল, জয়নাল জ্যাক, মিশকাত মাহবুব, বিল্টু শামীম, মাহবুবা মাহিয়া প্রমুখ। নাটকটি দেখা যাচ্ছে সিডি চয়েজ ইউটিউব চ্যানেলে।

এমআর/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
শুভশ্রীকে নিয়ে ১৪ বছরেও কিছু বলিনি, এটাই সম্মান : দেব Oct 28, 2025
img
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ দাশ গ্রেপ্তার Oct 28, 2025
img
আমরা ইরানের সঙ্গে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি : রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 28, 2025
img
সালাহউদ্দিন স্যার আমার ব্যাটিংয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস রাখে : তানজিম সাকিব Oct 28, 2025
img
বিএনপি নেতা টুকুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি Oct 28, 2025
img
বিএনপি নেতা দিদারুল আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার Oct 28, 2025
img
সাজাপ্রাপ্তরা দেশে না থেকেও মুক্তি পাচ্ছে : ফয়জুল করিম Oct 27, 2025
img
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সরকার প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
ড. ইউনূসের সংস্কার ও জুলাই সনদ কেবলই ভাঁওতাবাজি : জিল্লুর রহমান Oct 27, 2025
img
শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র Oct 27, 2025
img
মৌনী রায়ের রেস্তোরাঁর নাম ‘বদমাশ’, এক গোলাপজামের দাম ৪১০ টাকা! Oct 27, 2025
img
সরকারি অফিসে ঝুড়ি কেনার ধাপের বর্ণনা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 27, 2025
img
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা, দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা Oct 27, 2025
img
দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা : খাদ্য উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
শামীমের পারফরম্যান্সে হতাশ লিটন দাস Oct 27, 2025
img
আ.লীগ দোসর আখ্যা দিয়ে জামায়াত নেতার মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন নেতাকর্মীরা Oct 27, 2025
img
গুজব নয়, বাস্তব সত্য দেখার আহ্বান রঞ্জিত মল্লিকের Oct 27, 2025
img
এবার জনগণই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে: সালাহউদ্দিন আহমদ Oct 27, 2025
img
ঐকমত্য কমিশনের সব ডকুমেন্ট উন্মুক্ত থাকা দরকার : প্রধান উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
মেয়াদ শেষ হলেও প্রয়োজনে সরকারকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করব : আলী রীয়াজ Oct 27, 2025