তাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ, যেহেতু তারা ছিল ধৈর্যশীল, তাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে। সেখানে তারা হবে স্থায়ী। আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসেবে তা কত উত্তম! বলো, তোমরা আমার প্রতিপালককে না ডাকলে তাঁর কিছুই আসে যায় না। তোমরা অস্বীকার করেছ, ফলে অচিরে নেমে আসবে অপরিহার্য শাস্তি।
’ (সুরা : ফোরকান, আয়াত : ৭৫-৭৭)
আয়াতগুলোতে চারিত্রিক গুণাবলি অর্জনের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. আয়াত থেকে বোঝা যায়, উত্তম গুণাবলি অর্জন করা এবং জীবনে তা ধারণ করা সাধনা ও ধৈর্যের বিষয়।
২. সালাম এমন নেক আমল, যার চর্চা জান্নাতেও অব্যাহত থাকবে। জান্নাতে মুমিনরা পরস্পরকে এবং ফেরেশতারা মুমিনদের সালাম দেবে।
৩. সম্মানজনক জীবিকা ও নিশ্চিন্ত জীবন জান্নাতের বৈশিষ্ট্য। ফলে কেউ দুনিয়ায় তা লাভ করলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করবে।
৪. ইবাদত করার অবকাশ বান্দার প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা এতে আল্লাহ নন, বরং বান্দাই উপকৃত হয়।
৫. অবিশ্বাসী ও পাপচারীদের শাস্তি দেওয়া হয় মূলত তাদের অবাধ্যতার জন্য। এ জন্য নয় যে তারা ইবাদত না করায় আল্লাহর রাজত্বের ক্ষতি হয়েছে। (তাফসিরে মুনির : ১০/১২৫)
এমআর/টিএ