আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধে কোনো আপস নেই। করতে হবে, করতে হবে, করতেই হবে, বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত শহীদ পরিবারগুলোই নেবে। তারা চাইলে এই দলকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
শুক্রবার (২ মে) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এনসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন হান্নান মাসউদ।
এনসিপির এ নেতা বলেন, শেখ মুজিব ৭১’ এর পর রক্ষী বাহিনী দিয়ে এই দেশে গণহত্যা চালিয়েছেন। তিনি ছিলেন জাতির জন্য অভিশাপ। দেশকে দুর্ভিক্ষে ঠেলে দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে না খেয়ে মরতে বাধ্য করেছেন। ৭৪’ সালের সেই দুর্ভিক্ষে শহীদ হয়েছে লাখো মানুষ।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে হান্নান মাসউদ বলেন, এই দলটি জাসদের নেতাদের হত্যা করেছে, শাপলা চত্বরে নিষ্পাপ শিশুদের রক্ত ঝরিয়েছে, পিলখানায় দেশের সেনাবাহিনীকে কেটে কেটে মেরেছে। এরপর রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করেছে, গুম-খুন-নির্যাতন করে ১৮’ ও ২৪’ সালের নির্বাচন করেছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ কখনোই এ দেশের মানুষের শান্তি চায়নি। তাদের রাজনীতি মানেই হত্যার ইতিহাস, ষড়যন্ত্র আর দমননীতি।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে এনসিপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করবে কি না এই সিদ্ধান্ত আপনি, আমি বা কোনো রাজনৈতিক দল নয়– শহীদ পরিবারগুলোই নেবে। যারা সন্তান হারিয়েছে, যারা রক্ত দিয়েছে, তারাই বলবে আওয়ামী লীগ থাকবে কি না। তারা চাইলে এই দলকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
হান্নান মাসউদ বলেন, এই রাষ্ট্র যদি বিচার না করে, তাহলে শহীদদের উত্তরসূরিরা রাস্তায় নেমে নিজ হাতে বিচার করবে। তখন কোনো সংবিধান, কোনো আইন আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবে না।
আরএ/টিএ