নাট্যব্যক্তিত্ব বাদল সরকারকে গুরু মানেন। অঞ্জন দত্তের নাম শুনলেই মুখে চওড়া হাসি। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কেও বেশ পছন্দ তাঁর। সুধীর মিশ্রের যৌবন শহর কলকাতাতেই। “যদিও একটাও প্রেম নেই এখানে। কিন্তু বাঙালি মেয়েরা ভারী সুন্দরী!” বাঙালি না হলেও কলকাতার এক কন্যেকে চোখে পড়েছে তাঁর। অনুষ্কা পন্থ। সুধীরের আগামী সিরিজ় ‘সামার অফ ৭৭’-এর নায়িকা তিনি। বিপরীতে নাসিরুদ্দিন শাহের ছেলে ভিভান শাহ! আড্ডা দিতে দিতে আনন্দবাজার ডট কমকে পরিচালক প্রথম জানালেন এ কথা। মুখ্য নারীচরিত্রে ইশা তলোয়ার।
কষ্টিপাথরে পরখের পরেই অনুষ্কার কপাল নাকি খুলে গিয়েছে। বলিউডে তাঁর এখন মুঠোভর্তি কাজ।
সাতাত্তরের গ্রীষ্ম কি এখনকার থেকেও বেশি উষ্ণ ছিল? প্রশ্ন শুনে ঘাড় ফিরিয়ে এক বার ভাল করে দেখলেন। সুধীর বললেন, “আমি এখনকার শেষ প্রজন্মের গল্প বলতে চলেছি। যারা বিপ্লব করতে জানে। প্রতিবাদে শামিল হতে ভয় পায় না। কোনও কথা একবারে মেনে নিতে শেখেনি। সত্যিই ‘নূতন যৌবনের দূত।’” একটু থেমে জানালেন, প্রতিবাদীই যদি না হল, তা হলে যৌবনের উদ্দামতা, উষ্ণতা কোথায়? এ রকমই সাতটি চরিত্রের গল্প এই সিরিজ়ে। একটু থেমে জুড়লেন, “এই প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে। ওরা কত নির্ভীক।” তার পরেই হাসিমুখ, “আমার চুলগুলোই সাদা। মনটা সবুজ।”
আরও বললেন, “শুধুই অনুষ্কা নন, অঞ্জন আছেন। শ্রীলেখা মিত্র আছেন। ‘রাখ’ ছবির পরিচালক আদিত্য ভট্টাচার্য অভিনয় করেছেন। তিনি পরিচালক বাসু ভট্টাচার্যের ছেলে। স্বরূপা ঘোষ রয়েছেন। এই প্রজন্মের সঙ্গে আগের প্রজন্ম মিলিয়ে মিশিয়ে কাজ বলতে পারেন। খুব তৃপ্তি পেলাম।”
শ্রীলেখার আগে ওই চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের অভিনয়ের কথা ছিল। অভিনেত্রীর কাজ নিয়ে প্রশংসা করেছেন সুধীর। রসিকতা করে বলেছেন, “কলকাতায় শুনেছি শ্রীলেখার বেশ নামডাক আছে? আমার মিষ্টি লেগেছে।” শুনে বাঁধভাঙা খুশিতে ফেটে পড়েছেন শ্রীলেখাও। তাঁর দাবি, “সুধীরজি নিজেই প্রতিষ্ঠান। তার পরেও মাটিতে পা। ভাল লাগল, আমাকে তিনি মনে রেখেছেন।”
টিকে/এসএন