সমানাধিকারের বাংলাদেশ গড়তে নারীদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি—এমন মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংলাপে তিনি এই কথা বলেন। কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি বিষয়ে আইএলওর কনভেনশন ১৯০ নিয়ে আয়োজিত এই আলোচনা সভা আয়োজন করে ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ডস কমিটি, সহযোগিতায় ছিল আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, তাদের ক্ষমতায়নে যোগ্য করে তুলতে কাজ করছে। তাই প্রাসঙ্গিকভাবে আইএলও কনভেনশন ১৯০ লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা এবং কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা ও হয়রানি মোকাবিলায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলস্রুতিতে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা ও হয়রানি, মজুরি বৈষম্য এবং সীমিত আইনি সুরক্ষার মতো চ্যালেঞ্জগুলো আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনের তাগিদকে আরও স্পষ্ট করতে তোলে।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা আরও বলেন, নারীদের জন্য আমরা যদি একটি নিরাপদ পরিবেশ করে দিতে না পারি, তাহলে আমাদেরকে জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রম আইন সংশোধনের জন্য কাজ করছে, সেইসঙ্গে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর প্রতি সব ধরনের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কাজ করছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশে নতুন করে ভাববো, নারীদের সমান সুযোগ দিয়ে কর্মক্ষেত্রের যোগ্য করে তুলতে নারী-পুরুষকে সমান চোখে দেখবে। আমাদের আইনগুলো আরও সুদৃঢ় হবে, আমাদের দায়বদ্ধতা হয়তো আরও বাড়বে আমরা সবাই মিলে এ নতুন বাংলাদেশকে গড়বো এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংলাপ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাওতিয়েনেন,নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ড কমিটির সদস্য চৌধুরী আশিকুল আলম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান আহমেদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএ