গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসীরা। সেই ঘটনার জবাবে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপরই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে।
এমন অবস্থায় ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ওপার বাংলার টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, ‘একটা সময় ভারতের নীতি ছিল আমাকে চড় মারলে আর একটা গাল বাড়িয়ে দেব । কারণ আমরা ছিলাম অহিংস নীতি মেনে চলা শান্তিপূর্ণ দেশ। কিন্তু সে সময়টা চলে গেছে। এখন চড় খেলে আবার চড়টা ফিরিয়ে দিতে হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই চড় সপাটে মেরেছে। আজ ৭ মে আমাদের ভারতবাসীদের কাছে বিরাট একটা দিন। ২৬ টা পরিবারের যে নিরীহ প্রাণ চলে গেছিল, তাঁদের চোখের জল কিছুটা হলেও মুছল।’
বেশ কয়েক বছর ধরে কাশ্মির ভাস্বরের কাছে নিজের ঘরের মতো হয়ে গেছে। কারণ তিনি এই শহরে একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। সেখানকার মানুষরা ভাস্বরের কলকাতার ফ্ল্যাটেও এসেছেন বহুবার। অভিনেতার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন তারা।
কাশ্মির নিয়ে ভাস্বর একগুচ্ছ বই লিখে ফেলেছেন। 'অন্য উপত্যকা', 'আলোর উপত্যকা', 'মহারানি দিদ্দা', 'আলিয়া' প্রতিটি বই রীতিমত বেস্টসেলার।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে ভাস্বর বললেন, ‘জঙ্গি ঘাঁটি যে পাকিস্তানে একাধিক রয়েছে সেটা গোটা পৃথিবী জানে। এবার তো পুরো দুনিয়ার সামনে প্রমাণ হয়ে গেল পাকিস্তান জঙ্গিদের আস্তানা। ভারতীয় সেনাবাহিনী কিন্তু একমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকেই আক্রমণ করছে। বেশ করছে, ঠিক করছে। ভারত সরকার জঙ্গিদের গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে পাকিস্তান জঙ্গি ঘাঁটির মূল উৎস।’
তিনি আরও বলেন, শুনলাম পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এখন বলছেন 'শান্তি চাই'। শান্তি চাইলে পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা চালিয়েছিল কেন? আর সেই লোকগুলো পাকিস্তান থেকেই এসেছিল তা নতুন করে প্রমাণ করার আর কিছু নেই। চড় খাবার দিন শেষ, চড় মারার দিন শুরু হয়ে গেছে।
ভাস্বর আরও একটি ব্যাপারে দারুণ খুশি। তার কথায়, ‘খুশির কারণ ভারত মক ড্রিল করছে, পাকিস্তান ভেবেছিল- ভারত টেবিলের তলায় লুকোবে। কিন্তু সেটা যে নয়, তাই ভারত দেখিয়ে দিল। পাকিস্তান যে হামলা ধারণা করতে পারেনি ভারত তা করে দেখালো। আমি গর্বিত। আমি অন্তর থেকে খুশি হয়েছি ২৬টা প্রাণের জন্য।’
এফপি/এস এন