আন্দোলনের চার ঘণ্টায়ও প্রধান উপদেষ্টার সাড়া মেলেনি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও দলটির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়, যা রাত ২টা পেরিয়েও চলমান রয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্র পক্ষসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নিয়েছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে তুলেছেন যমুনা সংলগ্ন এলাকা।

স্লোগানগুলোতে ছিল— “ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর”, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে”, “আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ কর”, “আজাদী আজাদী”, “২৪ বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই” প্রভৃতি।

এই কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা।

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জুলাইয়ের পক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে এখানে রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হবে, ততক্ষণ আমরা যমুনা থেকে উঠছি না।”

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, আপ বাংলাদেশের আলী আহসান জুনায়েদ, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদি, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাহিদ আহসানসহ অনেকেই।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে। প্রয়োজনে লাশ হয়ে ফিরবো, কিন্তু দাবি ছাড়বো না।”

এনসিপির তরুণ নেতাকর্মীরাও কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। যুব উইংয়ের প্রধান তারিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা ধৈর্য ধরে বসে থাকবো, কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সরবো না।”


এসএস

Share this news on: