পাক-ভারত উত্তেজনা: সাতক্ষীরায় নিরাপত্তা জোরদার

২০৩ কিলোমিটার সীমান্ত পথের একদিকে বাংলাদেশ, অন্যদিকে উত্তপ্ত উপমহাদেশের দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সাম্প্রতিক উত্তেজনায় যখন দুই দেশের সম্পর্ক টালমাটাল, তখন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত সাতক্ষীরায় ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া নজরদারি ও বাড়তি টহলে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন সীমান্তবাসী।

সাতক্ষীরার এই সীমান্তের মধ্যে রয়েছে ৩৬ কিলোমিটার ডাঙা এবং ১৬৭ কিলোমিটার নদীপথ। গোটা সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্বে রয়েছে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও শ্যামনগরের নীলডুমুরের ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা আগের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী ইসরাইল হোসেন বলেন, “সীমান্ত এখনও শান্ত। তবে আগে ৫০০ গজ পর পর একজন বিজিবি সদস্য থাকতেন, এখন ৩০০ গজ পর পর তাদের দেখা যাচ্ছে। সীমান্তবাসীর জন্য এটা একটা বড় স্বস্তির বিষয়।”

বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন সাদমান জানান, “গোটা সীমান্তজুড়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিহত করতে বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত।”

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ বলেন, “ভারত অংশে সীমান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। সেই তুলনায় আমাদের দিকেও অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি। নিরাপত্তার স্বার্থেই সীমান্ত এলাকাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।”

সীমান্তের মানুষের চোখে-মুখে এখনো উদ্বেগের রেখা স্পষ্ট। তবে বিজিবির সক্রিয় উপস্থিতি, স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা এবং গোয়েন্দা নজরদারিতে সীমান্তের বাতাসে ফিরছে এক চিলতে স্বস্তি।

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আ.লীগের নাশকতা ঠেকাতে গোপালগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি Nov 16, 2025
img
বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল: রিজভী Nov 16, 2025
img
ফের পর্দায় জুন মালিয়া, ওয়েব সিরিজে নজরকাড়া প্রত্যাবর্তন! Nov 16, 2025
img
জুনে ফার্মগেটে শিবিরের সঙ্গে আন্দোলনের পরিকল্পনা করি : মুনতাসির Nov 16, 2025
img
সরকারকে গণভোট নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে হবে: গোলাম পরওয়ার Nov 16, 2025
img
জুলাই শহীদদের পরিচয় শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম আসছে ৫ ডিসেম্বর: আসিফ মাহমুদ Nov 16, 2025
img
অসুস্থতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন সৌমিতৃষা Nov 16, 2025
img
শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ Nov 16, 2025
img
তাজুল ইসলাম, শিশির মনিরদের চালাকি ফাঁস হয়ে গেছে : মো. তারেক রহমান Nov 16, 2025
img
দেশের অর্থনীতি আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা Nov 16, 2025
img
মালয়েশিয়ায় প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান, ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ বিদেশি আটক Nov 16, 2025
img
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ ৪ জেলায় বিজিবি মোতায়েন Nov 16, 2025
img
রয়্যাল ব্লু শাড়িতে নজর কাড়লেন নুসরাত ফারিয়া Nov 16, 2025
img
অপারেশন সিন্দুর থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি: ফারুক আবদুল্লাহ Nov 16, 2025
img
‘তোমাকে বাংলাদেশের দরকার’, হাদীকে শিক্ষিকা মোনামি Nov 16, 2025
img
গাজীপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের শ্রীপুর শাখায় পেট্রল বোমা হামলা Nov 16, 2025
img
সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন : সিইসি Nov 16, 2025
img
ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে মার্কিন সামরিক মহড়ার নিন্দা মাদুরোর Nov 16, 2025
img
হঠাৎ কেন দিল্লি যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা : গোলাম মাওলা রনি Nov 16, 2025
img
সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের Nov 16, 2025