ভারত ও পাকিস্তান—এই দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের সাতটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তির জোট জি৭।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত বুধবার ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের ভূখণ্ডে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিদিন সংঘর্ষ চলছে এবং এতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
জি৭ জোটের সদস্য দেশ—কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই রেপ্রেজেন্টেটিভরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, "আমরা ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।"
তারা আরও বলেন, "আমরা পাকিস্তান ও ভারতকে সংযম দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।" একই সঙ্গে পরমাণু শক্তিধর এ দুই দেশের মধ্যে দ্রুত এবং স্থায়ী কূটনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন জি৭ নেতারা।
ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে ফোনালাপ করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রুবিও ভবিষ্যৎ সংঘাত এড়াতে "গঠনমূলক আলোচনার সূচনা করতে সহায়তার" প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, "ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আমাদের বিষয় নয়।"
উল্লেখযোগ্যভাবে, চীনের বাড়তে থাকা বৈশ্বিক প্রভাব ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত পশ্চিমা বিশ্বের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্রে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে পাকিস্তানের কৌশলগত গুরুত্ব অনেকটাই কমে গেছে।
এসএস/এসএন