প্রচণ্ড গরমে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ডিমের চাহিদাও রয়েছে। বর্তমানে বাজারে একটি ডাবের দাম আর এক ডজন ডিমের দাম প্রায় একই। প্রতিটি ডাব এখন বাজারে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতি ডজন ডিমও বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকায় এর অপব্যবহার করছেন সুযোগসন্ধানী কিছু ব্যবসায়ী।
রবিবার (১১ মে) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে প্রতি ডজন ডিমের জন্যও গুনতে হচ্ছে ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা।সাদা বা লাল—সব ধরনের ডিমের দামেই ঊর্ধ্বগতি।
অনলাইন গ্রোসারি শপিং ও ডেলিভারির প্ল্যাটফর্ম চালডাল ডটকম ও ফুডপান্ডার পান্ডামার্টেও আজ প্রতি ডজন ডিম ও একটি ডাবের দাম প্রায় কাছাকাছি রাখা হয়েছে।
চালডালে একটি ডাবের দাম ১৪৯ টাকা আর এক ডজন ডিমের দাম ধরা হয়েছে ১৩৯ টাকা। তবে তারা ডাব ও ডিমে কিছুটা ছাড় দিয়ে বিক্রি করছে।
ডাব রাখা হচ্ছে প্রতিটি ১২৯ টাকা এবং ডিমও এক ডজন একই দাম রাখছে।
এদিকে পান্ডামার্টে দেখা যায়, একটি বড় ডাবের দাম ১৭৯ টাকা এবং ছোট ডাবের দাম ১৫৯ টাকা রাখা হয়েছে। আর প্রতি ডজন ডিম ১৩৪ টাকা করে বিক্রি করছে।
মিরপুর-১৩ এলাকার বাসিন্দা ইমরোজ গণমাধমকে বলেন, ডাব তো পাওয়াই যাচ্ছে না। একটা ভ্যানে যা পেলাম দুটোর দাম চাইল তিনশো টাকা।এক দাম। কোনো দামাদামি হবে না।
তিনি জানান, তার ডিমটাই বেশি প্রয়োজন তাই ডাব একটা বাদ দিয়ে একডজন ডিম নিয়েছেন।
একই এলাকার সেলিনা বলেন, ব্যস্ততার কারণে বেশিরভাগ সময় অনলাইন থেকেই কেনাকাটা করা হয়। গতকাল রাতে একটি ডাব আর একডজন ডিমের দাম প্রায় একই দেখেছি। ডাব কেনার ইচ্ছা থাকলেও না কিনে ডিমই কিনতে হয়েছে।
মিরপুর-১৩ এলাকার খুচরা বিক্রেতা আব্দুল মতিন জানান, পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে বলেই খুচরা দামও বেড়েছে। এখন সাদা ও লাল রঙের ফার্মের ডিমের দামে তফাত নেই। আর গরমের মধে ডাবের চাহিদা তো এখন অনেক বেশি।
প্রসঙ্গত, প্রচণ্ড গরমে শরীর যখন ক্লান্ত, তখন খুব দ্রুত প্রশান্তি এনে দিতে পারে ডাবের পানি। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি প্রাকৃতিক পানীয়। এতে কোনো কৃত্রিম রং, প্রিজারভেটিভ, ফ্লেভার—এর কিছুই থাকে না। তাই বাজারে যত কৃত্রিম পানীয় আছে, তার তুলনায় ডাবের পানি সেরা।
অন্যদিকে পুষ্টিবিদদের মতে, প্রচণ্ড গরমে ডিম খেলে শরীর গরম হয়ে যাবে- এমন ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এমনকী গরমে ডিম খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বাড়বে এমন কোনো আশঙ্কাও নেই। বরং এই সময় নিয়মিত ডিম খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা যায়।
এফপি/এস এন