ভারতের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের জেরে পিএসএলের বাকি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তনে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয় পুরো টুর্নামেন্ট। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর ফের আলোচনায় এসেছে পাকিস্তান সুপার লিগ পুনরায় শুরু করার বিষয়টি।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ফের শুরু হলে একক কোনো ভেন্যুতে আয়োজন করা হতে পারে বাকি আটটি ম্যাচ। এর আগে ৮ মে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে ভারতের একটি ড্রোন বিস্ফোরণের পর পেশাওয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচ স্থগিত করা হয়। এরপর পুরো টুর্নামেন্ট বন্ধ ঘোষণা করে পিসিবি।
পিএসএলের দশম আসরে এখনো লিগ পর্বের চারটি ও প্লে-অফসহ মোট আটটি ম্যাচ বাকি। ইতোমধ্যে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। করাচি কিংস ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেড রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
এমন প্রেক্ষাপটে সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি পরামর্শ দিয়েছেন, পিএসএল যদি পাকিস্তানে আয়োজন সম্ভব না হয়, তাহলে শুধু দুবাই নয়, বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশকেও বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।
তার ভাষায়, "বাংলাদেশের স্টেডিয়ামগুলোতে সাধারণ ম্যাচেও দর্শকের উপস্থিতি থাকে। এখানে আয়োজন করলে আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হবে পিসিবি।"
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ইতোমধ্যে বিদেশি খেলোয়াড়দের দুবাই এবং স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিজ দেশে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। তবে যুদ্ধবিরতির পরও অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনার রেশ থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে কিছু সময় লাগবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।
এসএস/টিএ