সংঘর্ষবিরতির পরও সীমান্তে উত্তেজনা। চুক্তি ভেঙে হামলা বেইমান পাকিস্তানের। ফের কি কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে নয়াদিল্লি? জল্পনার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়ে দিল অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি আছে। এদিকে, সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই রাজধানীতে সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার বিকাল ৫টায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে আমেরিকা। কিছু পরে দুদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তিন ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সীমান্তে ফের নির্লজ্জের মতো গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। এমনকী জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় ড্রোন হামলাও করা হয়। যার যোগ্য জবাব দেয় ভারতও।
কিন্তু সেই হামলার কথা বেমালুম অস্বীকার করে নির্লজ্জ পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় সেনাই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই পরিস্থিতি ফের প্রত্যাঘাতের দাবি উঠছে দেশজুড়ে। এরই মধ্যে বায়ুসেনার তরফে জানান হল, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি।
বায়ুসেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, “অপারেশন সিঁদুরে বায়ুসেনাকে যে যে কাজ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো আমরা সফলভাবে করেছি। একেবারে নির্দিষ্টভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমরা কর্তব্যপালন করেছি। জাতীয় স্বার্থে ওই অপারেশন চালানো হয়েছে। তবে এখনও অপারেশন চলছে। তাই ভারতীয় বায়ুসেনার অনুরোধ, কোনওরকম ভুয়ো খবর বা গুজবে কান দেবেন না। যাচাই না করে যে কোনও তথ্য বিশ্বাস করবেন না।”
আসলে অপারেশন সিঁদুরের শুরু থেকেই ফেক নিউজ, এবং ফেক ভিডিও দিয়ে রীতিমতো অপপ্রচার চলেছে সোশাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের একাংশে। সেটাই বন্ধ করার আর্জি জানাল সেনা। তবে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল, অপারেশন সিঁদুর যে এখনও শেষ হয়নি, সেটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হল।
এদিকে সীমান্তে যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান, সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। তবে ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়।
এমআর/টিএ