নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সাত নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি আওলাদ হোসেন অন্যতম। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি এবং গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। গ্রেফতার হওয়ার সময় তার গলায় ‘রাজধানী টিভি’ নামে একটি আইপি টিভির পরিচয়পত্র ছিল এবং নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন তিনি।
একই মামলায় গ্রেফতার হন গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চয়ন মিয়া। তিনি গণেশ গ্রামের বাসিন্দা ও সুজা মিয়ার ছেলে। এছাড়া বড়ভিটা ইউনিয়নের বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলায় গ্রেফতার করা হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের উপজেলা সহসভাপতি জামিনুর রহমান চৌধুরীকে। তিনি মাগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে, গ্রেফতার হওয়া বাকি চারজন হলেন—উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আশুতোষ সিংহ রায়, সদর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের জ্যোতি কৃষ্ণ রায়ের ছেলে লক্ষণ, হাজিপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে (নাম প্রকাশ হয়নি) এবং বাজেডুমরিয়া গ্রামের সাহাদার আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম।
ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, “গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ও রাজনৈতিক দলের অফিস ভাঙচুর মামলার পলাতক আসামি। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
এসএস/টিএ