গরমকাল মানেই আমের আধিপত্য, তবে তালের শাঁসও কম যায় না। সাদা, নরম, রসালো আর তুলতুলে এই ফলটি অনেক সময় আমকেও টেক্কা দিতে পারে। শুধু স্বাদেই নয়, উপকারিতার দিক থেকেও তালের শাঁস ভরপুর পুষ্টিগুণে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক পানি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ উপাদান—যা গরমে শরীরকে রাখে ঠাণ্ডা ও সুস্থ।
পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিংকের বদলে তালের শাঁস খাওয়া আরও স্বাস্থ্যকর। এটি ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে ও শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, তালশাঁস শরীরের আরও অনেক উপকারে আসে—
লিভারের যত্নে সহায়ক
যাদের লিভারে সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য তালের শাঁস হতে পারে প্রাকৃতিক ও কার্যকর ওষুধ। এর মধ্যে থাকা উপাদানগুলো লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং জমে থাকা টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
আয়রনের ঘাটতি পূরণে কার্যকর
আয়রনের অভাবে শরীরে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তালের শাঁসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরমে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে তালের শাঁস হতে পারে উপযুক্ত বিকল্প।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, যা নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তালের শাঁসে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হজমশক্তি উন্নত করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
গরমে শরীরচর্চা করা অনেকের পক্ষেই কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই সময় তালের শাঁস খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়, কারণ এতে থাকা ফাইবার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে এবং পানির ঘাটতি পূরণ করে। ফলস্বরূপ অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
সুতরাং গরমে শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তালের শাঁস হতে পারে একদম নিখুঁত ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
আরএম/এসএন