দক্ষিণের চলচ্চিত্র প্রেমীদের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘বিশ্বম্ভরা’ নিয়ে এবার এল বড় খবর। মেগাস্টার চিরঞ্জীবীর এই পৌরাণিক ফ্যান্টাসি নাটক আর ২০২৫ সালে নয়—মুক্তির নতুন লক্ষ্য ২০২৬ সালের গ্রীষ্মকাল। ছবির টিজার প্রকাশের পর যে সমালোচনা উঠেছিল, বিশেষ করে ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের মান নিয়ে, সেটিই পুরো পরিকল্পনা ও সময়সূচি ওলটপালট করে দিয়েছে।
শুরুতে ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। পরিচালনায় আছেন ‘বিম্বিসার’ খ্যাত ভাসিষ্ঠ, আর প্রধান চরিত্রে চিরঞ্জীবীর মতো কিংবদন্তি। বিশাল ক্যানভাসে তৈরি এক পৌরাণিক ফ্যান্টাসি জগৎ যেখানে দিব্য শক্তির লড়াই, আধ্যাত্মিকতার দ্বন্দ্ব আর জটিল মানবিক অনুভূতি মিশে যাবে—এমন গল্প শোনানো হয়েছে দর্শককে।
কিন্তু টিজার বেরোতেই দর্শকরা সোচ্চার হয়ে বলেন, এর ভিএফএক্স মান অত্যন্ত সাধারণ। এমন অভিযোগের মুখে চিরঞ্জীবী নিজেই নির্দেশ দেন পুরো ভিজ্যুয়াল অংশ নতুন করে তৈরি করার জন্য। এর জন্য যুক্ত হয়েছে একটি বিদেশি ভিএফএক্স স্টুডিও। নির্মাতারা বলছেন, দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে সময় লাগলেও মানের প্রশ্নে কোনও ছাড় নয়।
ছবিটির টিমও কম নয়। তৃষা কৃষ্ণান থাকছেন প্রধান নারী চরিত্রে। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছোটা কে নাইডু, সুরকার এম এম কীরাভাণি। আরও থাকছেন আশিকা রঙ্গনাথ, কুনাল কাপুর। প্রযোজনা করছে ইউভি ক্রিয়েশন্স। পুরো প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে।
‘বিশ্বম্ভরা’ পেছানোয় চিরঞ্জীবীর ভক্তদের মন খারাপ হলেও এখন শোনা যাচ্ছে, তার আগে মুক্তি পেতে পারে অনিল রাভিপুড়ির সঙ্গে করা একটি বাণিজ্যিক ছবি। তবে নির্মাতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন—‘বিশ্বম্ভরা’তে তারা মানের প্রশ্নে কোনও আপস করবেন না। এই ছবি হতে চলেছে টলিউডের ফ্যান্টাসি ঘরানায় এক নতুন মানদণ্ড।
সবশেষে ছবির দল বলছে—গতি নয়, মানই আসল। আর চিরঞ্জীবীর এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রয়াস দর্শকদের সেই সেরা অভিজ্ঞতাই দিতে চায়, যা বহুদিন মনে রাখবে দক্ষিণের সিনেমাপ্রেমীরা।
এফপি/ টিকে