জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণ এবং এভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নলেজে রাখা ও রিসার্চের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৪ মে) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী।

তখন আদালত কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।

এর মধ্যে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ পায়, সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে আবেদন করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

আদেশের পর আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, দোষীদের বিচার নিয়ে আগস্টে রিট করি। তখন রুল ইস্যু করেন। সে অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আইন সংশোধন করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম কাজ করছে। এর মধ্যে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে ১৪০০ মানুষকে খুন করার কথা বলা হয়েছে। তখনকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, কীভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল—অর্থাৎ একটি যথাযথ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট।

তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে তিনটি উদ্দেশ্যে এটিকে সংরক্ষণ করা উচিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার জন্য, কী ঘটনা ঘটেছিল। এভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ করার জন্য। যদিও ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনাল এটাকে নিয়েছে বলে জেনেছি। ভবিষ্যতে রিসার্চের উদ্দেশ্যে অন্য দেশে ব্যবহার করা। এ জন্য কোর্ট অব রেকর্ড হিসেবে হাইকোর্টে রিপোর্টসহ আবেদন দাখিল করেছি। আদালত রুল জারি করেছেন।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আনন্দ মিছিল শেষে প্রাণ গেল বিএনপি নেতার Dec 26, 2025
img
অবসরের যাচ্ছেন বার্সেলোনার রাফিনিয়া আলকান্তারা Dec 26, 2025
img
বিপিএলের পর্দা উঠছে আজ, উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি মিরাজ-শান্ত Dec 26, 2025
img
ঝালকাঠিতে হাদী ইস্যুতে একই মঞ্চে জামায়াত-এনসিপি-বৈছায়াসহ সব ইসলামি দল Dec 26, 2025
img
হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙার কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি থাইল্যান্ড সরকারের Dec 26, 2025
img
৪ স্তরের নিরাপত্তায় আজ জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন তারেক রহমান Dec 26, 2025
img
দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু রুমিন ফারহানার Dec 26, 2025
img
শুক্রবার দেশজুড়ে কর্মসূচির ডাক ইনকিলাব মঞ্চের Dec 26, 2025
img
২২ বছর পর ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন জামায়াতের এমপি প্রার্থী Dec 26, 2025
img
বিশ্ব গণমাধ্যমে ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে আলোচনায় তারেক রহমান Dec 26, 2025
img
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন Dec 26, 2025
img
৩ জানুয়ারি ঢাকায় জামায়াতের মহাসমাবেশ, সফল করতে প্রস্তুতি সভা Dec 25, 2025
img
তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় নতুন গতি সঞ্চার করবে: আসিফ মাহমুদ Dec 25, 2025
img
বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসছেন তানজিন তিশা Dec 25, 2025
img
হাদির ঘটনায় জড়িতদের টাকার বিনিময়ে পার করেন দুই নেতা Dec 25, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় আখতার হোসেনের বক্তব্য Dec 25, 2025
img
চমেকের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা Dec 25, 2025
img
বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটিতে হাবিবুল বাশারের পরিবর্তে নান্নু Dec 25, 2025
img
তারেক রহমানের দেশে ফেরার নিয়ে যে ‘স্লোগান’ মনে পড়ল ইশরাকের Dec 25, 2025
img
নরসিংদী-৫ আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতা Dec 25, 2025