বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যেতে হলে প্রথমে সরকারের অনুমতি, পরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে তবেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
গত ১৪ মে বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ১৭ ও ১৯ মে শারজাহতে অনুষ্ঠিত হবে দুটি টি২০ ম্যাচ। তবে এই সফরের পরপরই পাকিস্তানে যাওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল, সেটি এখনো অনিশ্চিত।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ১৩ মে বিসিবিকে একটি নতুন সূচি পাঠিয়েছে। মূলত পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর সময়সূচি পরিবর্তন এবং ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার কারণে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী সিরিজটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে, কিন্তু পিএসএলের ফাইনালও এখন একই দিনে হওয়ায় সেটি পিছিয়ে নতুন সূচি অনুযায়ী শুরু হবে ২৭ মে। শেষ ম্যাচ হবে ৫ জুন। প্রথম তিন ম্যাচ হবে ফয়সালাবাদে ২৭, ২৯ মে এবং ১ জুন। এরপর বাকি দুটি ম্যাচ হবে লাহোরে ৩ ও ৫ জুন।
তবে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ আছে বলে জানা গেছে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, এমন সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে সরকারের অনুমতি ও খেলোয়াড়দের মতামত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা গতকাল (১৩ মে) ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে অনুমতির জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। আগের দিনও উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে জানিয়েছি এবং আজও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি উল্লেখ করেছি, পিএসএল শুরু হয়ে গেছে এবং আইপিএল আবার শুরু হতে যাচ্ছে। পরিস্থিতি টেকসই কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সরকার যদি আমাদের কিছু নির্দেশনা দেয়, তাহলে আমরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলব। সব স্টেকহোল্ডারদের সাথেও আলাপ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে সরকারের অনুমতি লাগবে, এরপর খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসতে হবে। কিছু খুঁটিনাটি বিষয় যেমন ভেন্যু নিয়েও আলোচনা করতে হবে। কারণ এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়, একা সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়।’
সফরটি এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকলেও বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব পক্ষের সম্মতি পেলে তবেই পাকিস্তান সফরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এফপি/টিএ