উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সেনাবাহিনীর এক বৃহৎ সামরিক মহড়া পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (১৪ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ তথ্য জানায়। মহড়ায় অংশ নেয় উত্তর কোরিয়ার বিশেষ বাহিনী, ট্যাংক ইউনিট ও আর্টিলারি বিভাগ।
মহড়ায় ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ, মাটিভিত্তিক হামলার কৌশলসহ আধুনিক যুদ্ধপ্রযুক্তির ব্যবহার সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন কিম জং উন। সেনারা বিভিন্ন আক্রমণাত্মক প্রশিক্ষণ প্রদর্শন করে তার সামনে।
পরিদর্শন শেষে সেনা সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় কিম বলেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই মহড়া শুধু দেশীয় সামরিক সক্ষমতা যাচাই নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তি প্রদর্শনের বার্তাও বহন করে। বিশেষ করে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের মহড়াকে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন তারা।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিমের এই পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়াশীলতা ও যুদ্ধক্ষমতা নিরূপণ।
এ ধরনের প্রদর্শনী আন্তর্জাতিক মহলে উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি ও প্রস্তুতির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কৌশল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
এসএস