ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের মেয়র নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়ের করা মামলার রায় এবং নির্বাচন কমিশনের আপিল না করার সিদ্ধান্তের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আইনগত জটিলতা রয়েছে কি না, তা নিরূপণে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ২০২৫ সালের ২৭ মার্চের রায়ে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৬ অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে কোনো আইনগত জটিলতা রয়েছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া, চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করা হলেও কমিশন মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি, যার ফলে একতরফা রায় হয়েছে। মামলার আরজি সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আমলে না নিয়ে ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। একই ধরনের মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরাজিত মেয়র প্রার্থীর আবেদন খারিজ হয়েছে। এছাড়া, মেয়র প্রার্থীদের মেয়াদকাল-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আইনগত বাধা রয়েছে কি না, সে বিষয়েও মতামত চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইশরাক হোসেন ৩ মার্চ মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের দিন তার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়, এবং ইভিএম মেশিনে ভোট জালিয়াতি করা হয়। আদালত পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ।
এই প্রেক্ষাপটে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এসএস/টিএ