নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের অনুসারীরা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
শনিবার (১৭ মে) অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে তারা ‘আসিফের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমর্থকরা অভিযোগ করেন, আদালত রায় দিয়ে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করলেও এখনো ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো হয়নি এবং তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তারা বলেন, এই দীর্ঘ টালবাহানার পেছনে রয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ষড়যন্ত্র।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আমির হোসেন বলেন, “আমরা অবিলম্বে আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ চাই। তিনি যেন সিটি করপোরেশন ছেড়ে সচিবালয়ে গিয়ে অফিস করেন। নগর ভবনকে তিনি পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে রেখেছেন। আমরা তাকে আর এখানে দেখতে চাই না। নগর ভবনে বসবেন নগরপিতা।”
লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “সচিবালয়ে গিয়েছিলাম জনগণের দাবি জানাতে, কিন্তু ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের পথ আটকে রাখা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছি, কোনো বিশৃঙ্খলা করিনি।”
৬১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, “আদালত রায় দিয়েছেন তিনি (ইশরাক) মেয়র। তাহলে কেন এত টালবাহানা করা হচ্ছে? আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি কেন দেখানো হচ্ছে?”
যাত্রাবাড়ী থেকে আসা শ্রমিক দলের নেতা হোসেন বলেন, “আমরা দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই। শিগগিরই ইশরাক ভাইকে মেয়র হিসেবে শপথ দেওয়া হোক, এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। এরপর বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচন ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। পরে ২৭ এপ্রিল রাতেও নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে ইশরাককে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু এখনো তিনি শপথ নেননি।
এসএস/এসএন