শিক্ষার্থীদের সদিচ্ছার অভাবে জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের ভাড়া করে আনা সন্ত্রাসীদের তালিকা অসম্পূর্ণ হয়ে আছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ দ্বারা সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। চলতি বছরের ১৭ মার্চ এ কমিটি ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে রিপোর্ট প্রদান করেন। এর মধ্যে ঢাবি ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী ও পটুয়াখালী জেলার একজন ছাত্রলীগ কর্মী ছিল।
শিক্ষার্থীদের দাবি, রিপোর্টে ছিল না ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানাসহ ছাত্রলীগের চিহ্নিত অনেক সন্ত্রাসীর নাম। এ নিয়ে গত ১৭ মার্চ বিকেলে ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী।
এ প্রসঙ্গে ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে জুলাইয়ে হামলাকারীদের তথ্য আহ্বান করেছিলাম। তারা আমাদের কাছে যাদের তথ্য ও প্রমাণ দিয়েছে অর্থাৎ ১২৮ জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণ অনুসন্ধান কমিটির কাছে আছে। শিক্ষার্থীরা তানভীর হাসান সৈকতের নাম হামলাকারী হিসেবে তথ্য ও প্রমাণ দিলে এ তালিকায় তিনিও অন্তর্ভুক্ত থাকতেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাকের ওপর ভিত্তি করে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি ১২৮ জন হামলাকারীর রিপোর্ট দিয়েছে। হামলাকারীর সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা। তাই আবারও তথ্য অনুসন্ধান কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছে হামলাকারীদের সুনির্দিষ্ট তথ্য, ছবি এবং প্রমাণ আহ্বান করছে। এ নিয়ে তথ্য-প্রমাণ প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে গতকাল শুক্রবার (১৬ মে) একটি বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট কর্তৃক পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটি প্রথম সভায় ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কারো জানা থাকলে এ ঘটনার তথ্য প্রমাণাদিসহ তা ই-মেইল- inquiry@du.ac.bd, অথবা প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আগামী ১৫ জুন তারিখের মধ্যে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান করা যাচ্ছে।
এফপি/এ্সএন