প্রায় ছয় মাস পর ম্যাচ খেলতে নেমে ভালো করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে নেমে আউট হন প্রথম বলেই। বল হাতে খরুচে বোলিংয়ে পাননি কোনো উইকেট। তার দল লাহোর কালান্দার্স অবশ্য জয় পেয়েছে।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) নিজের সাবেক দল পেশাওয়ার জালমির বিপক্ষে দুই ওভারে দুই ছক্কা হজম করে ১৮ রান দিয়েছেন সাকিব। ২৬ রানের জয়ে আসরের প্লেঅফে উঠেছে শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন লাহোর।
রাওয়ালপিন্ডিতে রোববার বৃষ্টির কারণে ১৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে লাহোর করে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান। ফাখার জামানের ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ বলে ৬০ রান ছাড়া আর কেউ পঁচিশ পর্যন্তও যেতে পারেননি।
জবাবে পেশাওয়ার ৮ উইকেটে ১২৩ রানের বেশি করতে পারেনি। এই হারে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটির।
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন একাদশ ওভারে। পেসার আহমেদ দানিয়েলের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল র্যাম্প শট খেলার চেষ্টায় পারেননি তিনি, এ যাত্রায় যদিও ওয়াইড হয় বলটি।
পরের বলে আবার র্যাম্প খেলতে যান তিনি, এবারও ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি, স্লোয়ার বল ছোবল দেয় মিডল স্টাম্পে।
এক বলে শূন্য রানে আউট হয়ে হতাশায় মাঠ ছাড়েন সাকিব।
চার ওভারের পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে, শেষ দুই বলে সালমান মির্জার দুই উইকেটের পর পঞ্চম ওভারে বল হাতে পান সাকিব। পেশাওয়ারের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৩৫।
আঁটসাঁট বোলিংয়ে সাকিবের ওই ওভার থেকে আসে কেবল পাঁচটি সিঙ্গল। এর মধ্যে বাবর আজম চার বল খেলে নিতে পারেন তিন রান।
পরের ওভারে বাবরকে ফিরিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা।
সাকিব আবার বোলিং পেতে পেতে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় পেশাওয়ার। দশম ওভারে যখন বোলিংয়ে ফেরেন তিনি, পেশাওয়ারের স্কোর ৭ উইকেটে ৭১।
এই ওভারে সাকিব দেন ১৩ রান। যার বলে আউট হয়েছিলেন তিনি, সেই দানিয়েল পরপর দুটি ছক্কা মারেন তাকে।
পেশাওয়ারের কেউ ত্রিশ রানও করতে পারেননি। ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লাহোরের সফলতম বোলার বাঁহাতি পেসার সালমান মির্জা।
এই ম্যাচের আগে সবশেষ গত ৩০ নভেম্বর আবু ধাবি টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব। স্বীকৃত ক্রিকেটে সবশেষ খেলেছিলেন সেপ্টেম্বরের শেষে ভারত সফরে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে।
গত কয়েক মাসে মাঠের বাইরে থাকার সময়টায় ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশনের কারণে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। পরে অ্যাকশন শুধরে ফিরেছেন।
পিএসএলের নিলামে এবার দল না পেলেও টুর্নামেন্টটি স্থগিত হওয়ার পর পুনরায় শুরুর পালায় সাকিবকে দলে নেয় লাহোর।
আট বছর পর এবার পিএসএলে খেলছেন তিনি। আগে দুবার খুব সুখকর ছিল না তার অভিজ্ঞতা। ২০১৬ আসরে করাচি কিংসের হয়ে ৮ ইনিংসে ১৮ গড়ে রান করেছিলেন ১২৬, ওভারপ্রতি ৭.৯৫ রান দিয়ে উইকেট নিতে পেরেছিলেন ৩টি। ২০১৭ আসরে পেশাওয়ার জালমির হয়ে ৫ ইনিংসে ৫৫ রান করেন ১৩.৭৫ গড়ে, ৫টি উইকেট শিকার করেন ওভারপ্রতি ৭.২৬ রান দিয়ে।
এসএম