ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার জেরে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছিল ক্রিকেটের দুনিয়া। বেশ আতঙ্কের মাঝেই বন্ধ করে দেয়া হয় আইপিএল এবং পিএসএলের সূচি। দুই দেশ থেকেই জরুরী ভিত্তিতে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়া হয় ঝুকিপূর্ণ এলাকার বাইরে। এই বিদেশি তালিকায় ছিলেন পিএসএল দল লাহোর কালান্দার্সের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন এবং টম কারেন।
পাকিস্তান ছাড়ার পথে বেগ পেতে হয়েছিল দুজনকেই। আর শেষমেশ যখন পাকিস্তান ছেড়ে নিরাপদে দুবাইয়ে পৌঁছান ক্রিকেটাররা, এরপরেই বাংলাদেশি তারকা রিশাদের কাছ থেকে চলে আসে বেফাঁস মন্তব্য। দুবাই বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত এক সাক্ষাৎকারে রিশাদ বলেন, ‘টম কারেন বিমানবন্দরে পৌঁছার পর যখন শুনল বিমান চলাচল বন্ধ, তখন সে শিশুদের মতো কান্না শুরু করেছিল। তাকে দু-তিনজন মিলে সামলাতে হয়েছিল।’
এই ব্যাপারটি নিয়ে বেশ চাপের মুখেই পড়েছিলেন রিশাদ। যে কারণে আবার আলাদা করে ক্ষমাও চেয়েছিলেন বাংলাদেশের এই স্পিনার।
এবার অবশ্য রিশাদকে আরও খানিকটা বিব্রতকর অবস্থায় ঠেলে দিলেন টম কারেন নিজেই। যুদ্ধবিরতির পর পিএসএলের বাকি অংশ খেলতে পাকিস্তানে ঠিকই এসেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই পেসার। ফিরে এসে ছবি তুলেছেন পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের দুই সদস্যের সঙ্গে।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এরপর টম কারেন লিখেছেন, ‘দেখে ভালো লাগছে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। আমি প্রার্থনা করি—এই দুই বিশেষ দেশের মধ্যে শান্তি যেন স্থায়ী হয়। তবে প্রতিশ্রুতি দিয়েই বলছি– আমি কান্না করিনি। প্রস্তুতই ছিলাম।’
টম কারেনের ব্যাখ্যার আগেই অবশ্য গত ১১মে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি এই লেগ স্পিনার লেখেন, ‘দুবাই বিমানবন্দর অতিক্রমের সময় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের দেওয়া একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে আমি যে মন্তব্য করেছিলাম, সেখানে মন্তব্যটিতে পুরো প্রেক্ষাপট উঠে আসেনি এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে আবেগকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হয়েছে। এর ফলে যে ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি টম কারেনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি।’
টম কারেন বিরতির পর শুরু হওয়া পিএসএলে যোগ দিলেও তাতে যুক্ত হচ্ছেন না রিশাদ হোসেন। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন তিনি।
আরএম/এসএন