অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কলকাতার পাশাপাশি মুম্বাইতেও সমানতালে কাজ করেন। শুধু তাই নয়, মুম্বাইতে কাজ করার ফাঁকে বেশিরভাগ সময়েই তাঁর ইমেজ একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের মতো। কখনও মাথায় তেল মেখেই সারমেয় কন্যা সাবিত্রীকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে যান, তো কখনও অবলীলায় মুম্বইয়ের রাস্তায় অটো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে অভিনেত্রী রয়েছেন ইন্দোরে, একটি মারাঠি ছবির শুটিংয়ে। শুটিংয়ের শেষে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেছেন স্বস্তিকা। সেকথা নিজের সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। মন্দিরে প্রবেশের পোশাক আশাক নিয়েও খোলাখুলি মনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া নিয়ে ফেসবুক পোস্টে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘গতকাল নাইট শিফ্ট ছিল। ৪ পিএম কল টাইম। আজকে সকাল ৭.৩০ টায় ছুটি হলো। ইন্দোরে এসছি একটা মারাঠি ছবির কাজে। এখন Ujjain যাব, মহাকাল মন্দিরে, জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করতে আর মায়ের জন্য পুজো দিতে। এই মন্দিরের কথা আগে শুনেছিলাম কিন্তু মনে ছিল না। গাড়ির চালক দাদাকে জিজ্ঞেস করাতে বলল। Ujjain এ মহাকাল। আর ইন্দোর থেকে ২-২.৩০ ঘণ্টা দূরে ওমকারেশ্বর।
ঘুম হলোনা এক ফোঁটা ঠিকই কিন্তু এই সুযোগ ছাড়া যায় বলুন? আর অল্পদিনের জন্য এসছি তাই ওই টি-শার্ট, স্কার্ট, প্যান্ট ঐসব প্যাক করেছি। ডিসেম্বর মাসে বম্বেতে একটা অডিশন দিতে যাব, ওদের ব্রিফ অনুযাই এরকম একটা শাড়ি লাগতো, আমার পার্মানেন্ট মুশকিল আসান Parama নিজের একটা শাড়ি ব্লাউস পাঠালো, সেই তখন থেকে এটা আমার কাছে, এইবারে ভাবলাম সঙ্গে নিয়ে যাই, কলকাতা ফিরে ওকে দিয়ে দেবো। ভাগ্যিস স্যুটকেসে পুরেছিলাম, কে জানতো মন্দিরে পরে যেতে লাগবে। নাহলে ভাবুন, ওই টিশার্ট জিন্স পরে গেলে, মা ওপর থেকে এসে দু ঘা দিতো। ওহ, মহাকাল দর্শন হয়ে গেলে, আমার ৩টে হয়ে যাবে, আর ৯টা বাকি। বোনের ২টো। i am ahead. ও মায়ের মতন দেখতে তে ফার্স্ট, আমি জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনে। কিছু তে একটা ফার্ষ্ট তো হতে হবে নাকি? আর মাথায় অনেক পাকাচুল হয়েছে জানি। এই নিয়ে কমেন্ট করে নিজের সময় নষ্ট করবেন না। আপাতত রং মাখব না। ওঁ নমঃ শিবায় হর হর মহাদেব।
এ থেকেই বোঝা যায়, কাজের মাঝে ভিন রাজ্যের মাটিতেও স্বস্তিকা নিজের জন্য সময় বের করতে ভোলেন না। মহাকাল মন্দিরে পুজো দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে মায়ের স্মৃতিচারণাও করেছেন অভিনেত্রী। এবং যা বলেছেন তাতেই স্পষ্ট, মায়ের কাছে বেশ শাসনে থাকতেন তিনি। শুধু তাই নয়, কীভাবে যেন স্বস্তিকার মনটা পড়ে ফেলেছিল সোশ্যাল মিডিয়াও। আর তাই তাঁর টাইমলাইনে অদ্ভূতভাবে ওই একই সময়ে উঠে এসেছে তাঁর বহু পুরনো একটি মহালয়ার ভিডিও। সে প্রসঙ্গে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘বাহ। মহাকাল আর হরসিদ্ধি মন্দির নিয়ে কথা হচ্ছিল, মায়ের কনুই পরেছিল এই পীঠে, আর মা দূর্গার মহালয়ার ভিডিও টা চলে এল। একেই বলে টাইমিং’।
আরআর/এসএন