ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইসরায়েলি এক তরুণকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ ও শিনবেত। ১৮ বছর বয়সী মোশে আত্তিয়াস নামের এ তরুণ দীর্ঘদিন ধরে ইরানের এজেন্টদের হয়ে কাজ করছিলেন। ইতোমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের চিকিৎসার তথ্যসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইরানে পাঠান তিনি।
তবে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আয়রন ডোম ইউনিটে কর্মরত ইউরি এলিয়াস এবং জর্জি এন্ড্রেভ নামের দুই সেনাকে আটক করা হয়। অভিযোগ, গোপনে সামরিক তথ্য ও ভিডিও পাঠাতেন ইরানিদের কাছে। বিনিময়ে ইউরি পান আড়াই হাজার ডলার, অন্যদিকে মাত্র ৫০ ডলারের বিনিময়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেন জর্জি এন্ড্রেভ।
পরবর্তীতে ডিসেম্বরে আবারও আটক করা হয় ইরানের হয়ে কাজ করা প্রায় ৩০ জন ইসরায়েলিকে। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সাধারণ ইহুদি নাগরিক। শুরুতে তাদের ছোটখাটো কাজের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, পরবর্তীতে ধাপে ধাপে জড়িয়ে পড়তেন বড় অভিযানে। এদিকে ২০২৪ সালের অক্টোবরে সাতজন ইসরায়েলিকে আটক করা হয় রামাত ও নেভাটিম বিমানঘাঁটির তথ্য পাচারের অভিযোগে। এর কিছুদিন পরই ওইসব ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান ও হিজবুল্লাহ।
এমন অবস্থায় বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের যোগাযোগে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমনকি প্রণয়ন করা হয়েছে যাবজ্জিবন কারাদণ্ডের আইনও। তবে বাস্তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি নেতানিয়াহু সরকারের। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্মিলিতভাবে কাজ করছে ইরানের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। তারা শুধু বাহির থেকে নয়, ভেতর থেকেও ধীরে ধীরে দুর্বল করে চলেছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও সামরিক কাঠামো।
এসএম/টিএ