টি-টোয়েন্টিতে অধারাবাহিক দল বাংলাদেশ। যদিও এই ফরম্যাটে নিজেদের সর্বশেষ সিরিজে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতেই হোয়াইটওয়াশ করে এসেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নেমে সেই দলটাই পুরোদমে ছন্নছাড়া। বিশেষ করে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মিস ফিল্ডিংয়ের মহড়া দিয়ে হেরেছিল। ফলে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরে আরব আমিরাত। আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নেমেও লিটন-হৃদয়রা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে।
শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো উইকেট রক্ষার জন্য ধুঁকছে সফরকারীরা। ৫৭ রানের মাথায় তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট। এরপর শামীম-জাকেরও সেই বিপর্যয় কাটাতে পারেননি। ৭১ রানেই নেই বাংলাদেশের ৭ উইকেট। বলতে গেলে এক তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া বলার মতো কেউ রান করতে পারেননি।
ম্যাচের প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারিতে ১০ রান তোলেন তামিম। পরের ওভারে স্পিনার ধ্রুব পরাশরের প্রথম বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজ একাদশে ফিরেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে আউট হলেন। লিটন দাস হাল ধরার ইঙ্গিত দিয়েও ভুল করে বসলেন চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে। হায়দার আলীর বলে এলবিডব্লু হলেন ১০ বলে ১৪ রানে।
একই ওভারেই তাওহীদ হৃদয় কিছুটা এগিয়ে এসে মিস করে যান। বল তার প্যাডে আঘাত করতেই আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার। লিটন-হৃদয়ের দুটি আউটেই হয়তো রিভিউ নেওয়া যেত, কিন্তু সেই সুযোগ নেই এই সিরিজে। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া শেখ মেহেদী আরও একবার ব্যর্থ। তিনি হায়দারের শিকার, কিছুটা জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে তিনি বোল্ড হয়েছেন ৯ বলে ২ রান করে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরেছেন তানজিদ তামিম, শামীম পাটোয়ারী (৯) ও রিশাদ হোসেন (০)। তামিম ১৮ বলে ৪০ করেছেন ৪টি করে চার-ছক্কায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৭ রান। ক্রিজে অপরাজিত আছেন জাকের আলি ও তানজিম সাকিব।
আরএম/এসএন