যেভাবে আলু খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস

একবার ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই খাওয়াদাওয়ায় নানা বিধি-নিষেধ শুরু হয়। মূলত এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম আলু। আলুতে শর্করা ও স্টার্চ বেশি থাকে।এ ছাড়া এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স।

আলু এমন একটি সবজি, যা আমিষ হোক বা নিরামিষ, সব ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা যায়। সিদ্ধ, ভাজা, তরকারি, নানা পদে দেওয়া হয় আলু। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিপদের কারণ।

তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে আলু খেলেই ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। জেনে নিন সেসব উপায়—

খাওয়ার আগে ঠাণ্ডা করে নিন
ডায়াবেটিসে সিদ্ধ আলু ঠাণ্ডা করে খেতে পারেন। সাদা স্টার্চ ফ্রিজে রাখলে তাতে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যা হজম করা কঠিন। ফলে রক্তে শর্করা খুব বেশি বাড়ে না এবং শরীরে কম ক্যালরি ও চিনি শোষিত হয়।এমনকি ঠাণ্ডা আলু ফের গরম করলেও একই ফল পাওয়া যায়। তাই আলু সিদ্ধ করার পর ঠাণ্ডা করে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
 
ফ্যাট ও প্রোটিনের সঙ্গে খান
আলুতে ফ্যাট ও প্রোটিন যোগ করলে গ্লাইসেমিক প্রভাব কমে যায়। যেমন আলুর সঙ্গে চিজের মতো কিছু খাবার খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ভিনেগার যোগ করুন
ভিনেগারে থাকা এসেটিক এসিড আলুতে যোগ করলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।আলু সিদ্ধ ঠাণ্ডা করার সঙ্গে তাতে খানিকটা ভিনেগার মেশান। এতেই ডায়াবেটিসে আলু খাওয়ার আর কোনো ভয় থাকবে না।

কেকের মতো বেক করুন
কেকের মতো আলুও বেক করে খেতে পারেন। অল্প তাপমাত্রায় বেক করলে আলুর উপকারী গুণগুলো বজায় থাকে। সেই সঙ্গে কমে স্টার্চের পরিমাণও। তাই আলু ভাজার পরিবর্তে মসলা দিয়ে নিশ্চিন্তে খান বেকড আলু।
 
আগে সবজি খান
আলু খাওয়ার আগে বেশ অনেকটা পরিমাণে সবজি খেয়ে নিতে পারেন। সবজিতে থাকা ফাইবার কার্বোহাইড্রেট পরিপাকের গতি কমিয়ে দেয়। ফলে আচমকা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।

এমআর/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
অডি নয়, অসহায়দের আশ্রয় চান শ্রীলেখা মিত্র May 22, 2025
img
ক্লাস সেভেনে গৃহশিক্ষকের প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন কোয়েল May 22, 2025
img
পরিমনীর সাথে সিয়ামের সম্পর্কের নিশ্চিত তথ্য পাই ২০২২-এ: নিঝুম মজুমদার May 22, 2025
img
ভিন্ন রূপে শাবনূর, দেখে চমকে উঠলেন ভক্তরা! May 22, 2025
img
নিরাপত্তা চাদর ভেঙে সালমানের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশের চেষ্টায় গ্রেফতার এক যুবক May 22, 2025
img
ঐশ্বরিয়ার সিঁদুর-বেনারসিতে আলোড়ন, ঠিক তখনই অমিতাভের নীরব বার্তা! May 22, 2025
img
মৎস্য ও চাকরি আইন সংশোধনসহ উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ৫ সিদ্ধান্ত May 22, 2025
img
কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিলেন ইশরাক May 22, 2025
img
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০ নেতাকর্মীর ছাত্রদ‌লে যোগদান May 22, 2025
img
তদন্ত ছাড়াই ২০ দিনের মধ্যে চাকরিচ্যুত করা যাবে সরকারি কর্মচারীদের May 22, 2025
img
ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মীদের হত্যা : সন্দেহভাজন আটক May 22, 2025
img
প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব : হাসনাত May 22, 2025
img
কলকাতার আকাশে দেখা গেল অজ্ঞাত ড্রোনের ঝাঁক! May 22, 2025
img
সরকার ৯ মাসেও দেশকে স্থিতিশীল করতে পারেনি: গণঅধিকার পরিষদ May 22, 2025
img
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোর ৪ বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ May 22, 2025
img
‘অন্তর্বর্তী সরকার বিচারব্যবস্থার সংস্কার বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের অধিকার দমনের চেষ্টায় রয়েছে’ May 22, 2025
img
‘ভালো খেলিনি, শিশিরও ভুগিয়েছে’—সিরিজ হার নিয়ে লিটনের খোলামেলা স্বীকারোক্তি May 22, 2025
img
বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার May 22, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ চার জন May 22, 2025
img
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য এসেছে: ডা. জাহিদ হোসেন May 22, 2025