খুব শীঘ্রই নতুন জীবনে পা রাখতে চলেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষে সাতপাক ঘুরবেন তারা। পাত্র বলিউডের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার সুমিত অরোরা। গত মাসে বাগদান সেরেছেন তারা।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রোজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ঋতাভরী। তার একটি হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন সিরিজ ‘শাখাপ্রশাখা’ অন্যটি মৈনাক ভৌমিকের ‘বাৎসরিক’ সিনেমায়। কাকতালীয়ভাবে দুটি কাজেই বিধবার চরিত্রে থাকবেন তিনি। প্রথমটিতে অভিনেত্রী হবেন ‘নন্দিতা’, দ্বিতীয়টিতে হবেন‘বৃষ্টি’।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যে চরিত্রগুলোতে তিনি অভিনয় করেন সেটার প্রভাব তার ওপর পড়ে।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘বহুরূপী ছবির পরী হোক বা ফাটাফাটি ছবির ফুল্লরা দুই নারীর যন্ত্রণা তিনি অনুভব করতে পারতেন, তার মন খারাপ হতো। আবার এও জানিয়েছেন তার আসন্ন দুই ছবির চরিত্র নন্দিতা বা বৃষ্টির কষ্টও তার মনে প্রভাব ফেলেছে।’
এদিকে সামনেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ঋতাভরী। কিন্তু বিয়ের আগেই দুই ছবিতে বিধবার চরিত্রে নিজেকে ধরা দেবেন। এ নিয়ে পরিবারের মত কেমন হতে পারে, সে প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, তিনি যে বিশ্বাস করেন জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। এটা ধ্রুব সত্য বলে মনে করেন তিনি। ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি বুঝেছি বিধবার রকমফের আছে। কেউ স্বামী মারা যাওয়ার পর তার সম্পত্তি পেয়ে বড়লোক হয়, আর কেউ আত্মীয়দের কাছে একঘরে হোন, এখনও স্বামী মারা গেলে সেটার দায় মেয়েদের কাঁধেই পড়ে।’
এসএন