বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরে না গেলে তারা কঠোর কর্মসূচি শুরু করবেন না। প্রজ্ঞাপন বাতিল হলে তারা স্বাভাবিক কাজে ফিরবেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন।
তিনি বলেন, আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে সচিবদের অনুরোধে কঠোর কর্মসূচি না দিয়ে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কলম বিরতি পালন করা হয়েছে। প্রথম দিনে কলম বিরতি পালন করা হয়েছে।
এছাড়াও ফোরামের আরেক কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন থেকে সরে গেলে আরও কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। আগামী রোববার (০১ জুন) সকাল ১১টায় তিন উপদেষ্টাকে স্মারক লিপি দেয়া হবে।
ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে।
সোমবার (০২ জুন) দুই জন উপদেষ্টা যেমন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে স্মারক লিপি দেয়া হবে। রোববারের মধ্যে একটা ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশাবাদী তারা বলেও জানান তিনি।
ঈদের ছুটির আগেই সমস্যার সমাধান হবে হলে আশা তাদের তবে ধ্বংসাত্মক কিছু না করতে কর্মচারীদের অনুরোধ জানান ফোরাম নেতারা।
এর আগে বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা ঘোষণা দেন যে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা পালন করবেন। একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দপ্তরে একই সময়ে এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় ঐক্য ফোরাম। দাবি পূরণ না হলে ৩১ মের পর থেকে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান ঐক্য ফোরামের নেতারা।
প্রসঙ্গত: বৃহস্পতিবার (২২ মে) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর থেকে এ অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই রোববার সন্ধ্যায় (২৫ মে) সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগে থেকে শনিবার (২৪ মে) থেকে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
আরএ/টিএ