আসিয়ান সদস্যপদে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইলেন ড. ইউনূস

অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্যপদ লাভের জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ব্যাপারে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সহযোগিতা চান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের টোকিওতে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া সম্মেলনের ফাঁকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই সমর্থন চান।

বাংলাদেশ কয়েক বছর আগে পূর্ণ সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। মালয়েশিয়া আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মাহাথির মোহাম্মদকে বলেন, আসিয়ানের সদস্য হওয়ার জন্য আমাদের মালয়েশিয়ার সমর্থন প্রয়োজন। আপনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আসিয়ানকে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

আগামী ১০ জুলাই ১০০ বছর পূর্ণ করবেন মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তাকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আপনাকে ১০০তম জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তারা (ড. ইউনূস-মাহাথির) দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্য হওয়ার ইচ্ছা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ দেশটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাখ লাখ বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে মানুষ মালয়েশিয়া সম্পর্কে জানেন, কারণ মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য এ দেশে এসেছে।

বৈঠকে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, অনেক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে ভালো করছেন।

মাহাথির তার গৃহীত যেসব নীতির কারণে মালয়েশিয়া সমৃদ্ধ হয়েছিল তা স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশকে অনুরূপ নীতি গ্রহণের আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মাহাথিরকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে তিনি তাকে (মাহাথির) বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান।

এ প্রসঙ্গে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, তিনি কেবল তখনই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন যদি তার চিকিৎসকরা তাকে অনুমতি দেন। তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার কারণে ভ্রমণ সীমিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।

এফপি/এস এন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : তারেক রহমান May 31, 2025
img
ধারাবাহিকে কাজ নেই, ছেলের সঙ্গে বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন স্নেহা May 31, 2025
img
মিশন হেক্সা: রিয়ালের ছাঁচে ব্রাজিল স্কোয়াড গড়বেন আনচেলত্তি May 31, 2025
img
সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আর নেই May 31, 2025
এআই যুগে অ্যাপল কি পেছনে পড়ছে? May 31, 2025
img
পোশাক কারখানাগুলোতে আর গ্যাস সংকট থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা May 31, 2025
img
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি May 31, 2025
img
জীবিত ব্যক্তিকে ‘জুলাই শহীদ’ বানিয়ে মামলা May 31, 2025
img
আমরা মানুষ চিনতে ভুল করেছি : গয়েশ্বর May 31, 2025
img
“সবচেয়ে গরিব প্রেসিডেন্ট” মন্তব্যে আবেগতাড়িত বুলবুল May 31, 2025
img
ত্বকের যত্নে কী ব্যবহার করেন ক্যাটরিনা May 31, 2025
img
পানিবণ্টন ইস্যুতে ভারতের আগ্রাসন রুখতে প্রস্তুত পাকিস্তান: আসিম মুনির May 31, 2025
img
বাংলাদেশ সফরে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি প্রতিনিধি দল May 31, 2025
img
চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ জনের May 31, 2025
img
নিম্নচাপ কাটিয়ে ৩ দিন পর সচল হাতিয়ার নৌ চলাচল May 31, 2025
img
শ্রীপুরে আগুনে পুড়ল ৭টি দোকান, ক্ষয়-ক্ষতি লাখ টাকা May 31, 2025
img
বিনা পারিশ্রমিকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন বুলবুল May 31, 2025
img
বিশ্বের ২০ ভাষায় অনুবাদ হবে হজের খুতবা, বাংলাও রয়েছে তালিকায় May 31, 2025
img
বন্যা দুর্গতদের মুখে আর্জেন্টিনার স্কোয়াড ঘোষণা, ফিরছেন মেসি May 31, 2025
img
নতুন পোজে নজর কাড়লেন তানজিন তিশা May 31, 2025