দেশের জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র (কোটেশন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের তিন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র (কোটেশন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সিঙ্গাপুরের তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিনটি প্যাকেজে এ তেল আমদানি করা হবে। প্যাকেজ বি- পেট্রোচিনা ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড, প্যাকেজ সিতে- ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড এবং প্যাকেজ ডিতে সিনোচেম আন্তর্জাতিক তেল (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড সিঙ্গাপুর। এতে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) ২০২৫ সালের পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব গত বছরের ২৪ অক্টোবর সিসিইএ বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।
দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মেয়াদী চুক্তির আওতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে নেগোসিয়েশন করা চীনের দুটি এবং ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ওমানের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য ১৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
এই জ্বালানি তেলের মূল্য প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ৯৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩২ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে সভায় এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিয়েছে।
এর মধ্যে গ্যাস অয়েল ৮ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, জেট এ-১: ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন, মোগ্যাস ৭৫ হাজার মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার মেট্রিক টন ক্রয় করা হবে।
এসএন